তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সমাবেশের জন্য মাঠের বিকল্প মাঠ হতে পারে, রাস্তা নয়। কিন্তু বিএনপি সবসময় ব্যস্ত রাস্তার কথা বলছে। এটি দুরভিসন্ধিমূলক।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির গণগ্রেপ্তারের অভিযোগ খণ্ডন করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। তবে যারা আগুন সন্ত্রাসের জন্য অর্থ দিয়েছিল, হুকুম দিয়েছিল তাদের এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি। মানুষ মনে করছে, তাদেরও গ্রেপ্তার করা দরকার।
বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশস্থল নিয়ে বিকল্প প্রস্তাব প্রসঙ্গে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, জনসভা তো হয় ময়দানে, ব্যস্ত রাস্তায় হয় না। গাড়ি-ঘোড়া বন্ধ করে, মানুষকে আতঙ্কের মধ্যে ফেলে জনসভা করা কোনও দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের কাজ না। দেশের ইতিহাসে সবসময় বড় জনসভা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হয়েছে। সেটি তাদের পছন্দ না। তাদের শুধু রাস্তা পছন্দ কারণ সেখানে গাড়ি-ঘোড়া ভাঙচুর করা যাবে। ২০১৩-১৪-১৫ সালের মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আগুন দেওয়া যাবে।
‘আওয়ামী লীগের জনসভায় ভোগান্তি হলেই তো পত্রিকা লেখে যে, জনসভায় মানুষ হয়েছে তবে ভোগান্তি চরমে। জনসভা অবশ্যই ময়দানে হয়। রোববার যেমন আমরা চট্টগ্রামে জনসভা করেছি। লাখো মানুষের সমাবেশ হয়েছে। পাঁচ বর্গ কিলোমিটার এলাকা পুরোটা ছিল মানুষে সয়লাব। বিএনপির সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিকল্প হতে পারে পূর্বাচল বাণিজ্য মেলার মাঠ বা টঙ্গীতে বিশ্ব ইস্তেমার মাঠ কিংবা বুড়িগঙ্গার তীরেও মাঠ আছে; সেখানেও হতে পারে’- জানান আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সম্পাদক।
বিএনপির নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেপ্তারের অভিযোগের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার ১ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিজয় দিবস, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, ইংরেজি নববর্ষ- এগুলো নিয়ে প্রতি বছরই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এগুলো নতুন কিছু নয়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেও নয়।
সারাদেশে রাজনীতির নামে যারা ২০১৩-১৪-১৫ সালে আগুন সন্ত্রাস চালিয়েছিল, মানুষ হত্যার মহোৎসব করেছিল; তারা তো বিএনপির নেতাকর্মী। তাদের কাউকে যদি গ্রেপ্তার করা হয়, সেটি আইনগত বিষয় বলেও মনে করেন তিনি।