দলে ফেরা অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের ৪৭ রানের দৃঢ়চেতা ইনিংস ও জিমি নিশামের ১৫ বলে অপরাজিত ৩৩ রান নিউ জিল্যান্ডকে এনে দিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৩ রানের জয়। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় দিয়ে শুরু করতে বল হাতে অবদান রাখেন মিচেল স্যান্টনার।
জ্যামাইকার সাবিনা পার্কে টস জিতে নিউ জিল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিশাম শেষ তিন বলে টানা তিনটি চার মারেন এবং শেষ ওভারে তোলেন ২৩ রান। তাতে নিউ জিল্যান্ড ৫ উইকেটে করে ১৮৫ রান। এরপর বাঁহাতি স্পিনার মিচেল স্যান্টনার ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে উইন্ডিজকে ৭ উইকেটে ১৭২ রানে আটকে দেন। ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি।
নিউ জিল্যান্ডের ইনিংসকে দুই ভাগে ভাগ করা যেতে পারে, দীর্ঘ বৃষ্টি বিরতির আগেপরে। দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও ডেভন কনওয়ে সফরকারীদের হয়ে দারুণ শুরু এনে দেন, ৬২ রান। কিন্তু দুজনই পরপর ওডিন স্মিথের শিকার হন, যিনি ক্যারিয়ার সেরা টি-টোয়েন্টি বোলিং ফিগার ৩-৩২ অর্জন করেছেন।
গাপটিলকে (১৬) ডিপ পয়েন্টে এক হাতের দুর্দান্ত ক্যাচে ফেরান শিমরন হেটমায়ার। কনওয়ের ২৯ বলে ৪৩ রানের ইনিংস থামে টপ এজে উইকেটকিপার ডেভন থমাসের ক্যাচ হয়ে।
বৃষ্টি আসে ১২তম ওভারে, যখন নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ২ উইকেটে ৯৫ রান। ক্রিজে গ্লেন ফিলিপসকে নিয়ে উইলিয়ামসন। প্রায় দুই ঘণ্টা পর মাঠে নামেন খেলোয়াড়রা। খেলা শুরু হতেই ফিলিপসকে (১৭) হারায় সফরকারীরা।
তবে নিউ জিল্যান্ড দাঁড়িয়ে যায় উইলিয়ামসনের ব্যাটে। পরের ১৮ বলে ৩৩ রান করেন অধিনায়ক। বাউন্ডারিতে আরেকটি চমৎকার ক্যাচে মাঠছাড়া হন তিনি, এবার হেইডেন ওয়ালশ মিডউইকেট থেকে দৌড়ে এসে বল মুঠোবন্দি করেন।
রোমারিও শেফার্ডের হাতে জীবন পাওয়ার ওভারেই নিশাম ছক্কা মারেন। তার ক্যাচ ছাড়ার মাশুল গুনতে হয় উইন্ডিজকে।
বড় লক্ষ্যে নেমে শামারাহ ব্রুকস টপ অর্ডারে হাল ধরেন। ৪৩ বলে ৪২ রান করেন তিনি। কিন্তু ধারাবাহিকতা ছিল না অন্যদের ব্যাটে। নিকোলাস পুরান ৮ বলে করেন ১৫ রান, জেসন হোল্ডারের ২৫ রান আসে ১৯ বল থেকে এবং রভম্যান পাওয়েলের ১২ বলে ১৮ রান স্বাগতিকদের ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার ইঙ্গিত দিলেও তারা পারেনি।
শেষ দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভক্তদের আশা জাগায় শেফার্ড ও স্মিথের ২৩ বলে ৫০ রানের অষ্টম উইকেটের জুটি। শেফার্ড ১৬ বলে ৩১ রানে অপরাজিত ছিলেন, স্মিথ ১২ বলে ২৭ রানে। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেষ ওভারে দরকার ছিল ২৬ রান এবং সেই চ্যালেঞ্জ নিতে হাপিত্যেশ করতে হয়েছে তাদের।