Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

‘১০ ডিসেম্বরের দিকে শুধু বাংলাদেশ নয়, সারাবিশ্ব তাকিয়ে আছে’

ucb stock regular

আজকে আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। সামনে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিপন্ন। এমতাবস্থায় আগামী ১০ ডিসেম্বরের দিকে শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের মানুষ তাকিয়ে আছে। সমাবেশ যে কোনো মূল্যে আমাদের সফল করতে হবে। মামলা-হামলা ও গ্রেফতার উপেক্ষা করে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের (বিএসপিপি) সঙ্গে এ মতবিনিময় করে বিএনপি।

সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস উপস্থিত ছিলেন।

LankaBangla securites single page

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করে দেশে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। আসলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই এটা করে। এটা তাদের গুণ। তারা ভয় পায় এবং লুট করে। তারা ভয় দেখিয়ে শাসন করে। তারা জনগণের সঙ্গে থাকে না, বরং প্রতারণা করে। ভুল বুঝিয়ে ভোট নেয়। এখন তাদের আসল চেহারা বের হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, সারাদেশে মানুষ জেগে উঠেছে। বিগত নয়টি বিভাগীয় গণসমাবেশে লাখ লাখ মানুষ যোগ দিয়েছে। নদী সাঁতরে, পায়ে হেঁটে, সাইকেলে চড়ে, চিড়া-মুড়ি-গুড় নিয়ে সমাবেশে এসেছে মানুষ। দেশের স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার, খালেদা জিয়াকে মুক্ত এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে কাতারে কাতারে শরিক হচ্ছে সর্বস্তরের মানুষ।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ সফল করতে পেশাজীবীদেরও এগিয়ে আসতে হবে। সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমাদের আন্দোলন বেগবান করতে হবে। অতীতেও পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

তিনি বলেন, এখন শুধু তারেক রহমান বা বিএনপির অস্তিত্বের প্রশ্ন নয়, আজকে গোটা জাতির জন্য অস্তিত্বের লড়াই। যদি গণতন্ত্র ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ফিরে পেতে চাই তাহলে যে কোনো মূল্যে ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশ সফল করতে হবে।

এসময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার বলেন, ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, ফ্রি চিকিৎসা, হাসপাতালে পাঠানো ও মেডিকেল টিম, হটলাইন নম্বরসহ বিভিন্ন সেবার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, দেশের গ্রামীণ মানুষ আজ অতিষ্ঠ। বিএনপির সমাবেশ ঘিরে একটি গোষ্ঠী হামলা-মামলা চালাচ্ছে। ইনশাআল্লাহ, আমাদের ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ মহাসমাবেশে রূপ নেবে। এরই মধ্যে অনেক লোক ঢাকায় আসা শুরু করেছেন। পল্টন এলাকায় গেলেই দেখা যাবে লোকে লোকারণ্য। আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমেই সরকারের পতন হবে। অতীতেও তাই হয়েছে।

বিএসপিপির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরীর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান ও দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম।

এছাড়া পেশাজীবী নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, প্রকৌশলী আখতার হোসেন, অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন, অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ড. মামুন আহমেদ, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান, প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল প্রমুখ।

অর্থসূচক/এমএস