Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

আরব আমিরাতকে হোওয়াইটওয়াশ করলো বাংলাদেশ

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটি জিততে বেশ ঘাম ঝরাতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। তাইতো জিতেও নানা প্রশ্নবানে জর্জরিত হচ্ছিল সোহানবাহিনী। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে সেসব প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সুযোগ ছিল। অনেকাংশে দিয়েছেও। উন্নতির ছাপ রেখে দ্বিতীয় ম্যাচ বাংলাদেশ জিতে নিয়েছে ৩২ রানের ব্যবধানে। তাতে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শ্রীরামের শিষ্যরা জিতে নিয়েছে ২-০ ব্যবধানে।

বাংলাদেশের ছুড়ে দেওয়া ১৭০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের বোলিং তোপের মুখে পড়ে আরব আমিরাত। ২৯ রানেই হারিয়ে বসে ৪ উইকেট। অবশ্য সেখান থেকে অধিনায়ক চুনদানগাপোইল রিজওয়ান ও বাসিল হামিদের অনবদ্য জুটি ঢিমেতালে আশার আলো দেখাচ্ছিল আমিরাতের সমর্থকদের।

পঞ্চম উইকেটে তারা দুজন ৭২ বলে ৯০ রান তোলেন। যদিও তা প্রয়োজনীয় রান রেটকে ছুঁতে পারেনি। ১৯তম ওভারে দলীয় ১১৯ রানে এবাদত হোসেন এই জুটি ভাঙেন। হামিদ ৪০ বলে ৪ চারে ৪২ রান করে ফিরেন।

অবশ্য রিজওয়ানকে আউট করা যায়নি। তিনি ৩৬ বলে ২ চার ও সমান সংখ্যক ছক্কায় ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন। তার সঙ্গে ১ চারে ৮ রানে অপরাজিত থাকেন জাওয়ার ফরিদ। আর ৫ উইকেট হারিয়ে আরব আমিরাত থামে ১৩৭ রানে। বাংলাদেশ জয় পায় ৩২ রানে।

বল হাতে বাংলাদেশের মোসাদ্দেক হোসেন ২ ওভারে ৮ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ, নাসুম আহমেদ ও এবাদত হোসেন।

তার আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২৭ রানেই সাব্বির রহমানের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ফ্লপ হওয়া এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান আজ ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়ে ১ চার ও ১ ছক্কায় ১২ রান করে আউট হন। সেখান থেকে লিটন কুমার ও মেহেদী হাসান মিরাজ জুটি বেশ মারমুখী হয়ে উঠেছিল। কিন্তু দলীয় ৬৮ রানে লিটন ৪ চারে ২৫ রান করে বিদায় নিলে ভাঙে এই জুটি।

আগের ম্যাচের নায়ক আফিফ অবশ্য আজ সুবিধা করতে পারেননি। ১০ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৮ রান করে ফেরেন। সঙ্গী হারালেও মিরাজ খেলছিলেন হাত খুলে। ১২২ রানের মাথায় হাফ সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৪ রান দূরে থাকতে আউট হন তিনি। অবশ্য ৩৭ বলে ৫ চারে তিনি ক্যারিয়ার সেরা ৪৬ রানের ইনিংস খেলে যান। মিরাজের পর ১৩৭ রানে ফেরেন মোসাদ্দেকও। তিনি ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৭ রান করে যান।

সেখান থেকে ইনিংস শেষ করে আসেন ইয়াসির আলী ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ইয়াসির ১ চার ও ১ ছক্কায় ২১* এবং সোহান সমপরিমাণ চার ছক্কায় ১৯* রান করেন। তাতে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।

অবশ্য সোহান ও ইয়াসির শেষ দিকে হাত খুলে মারতে পারলে দলীয় সংগ্রহ আরও বেশি হতে পারতো। শেষ ৫ ওভারে অর্থাৎ ৩০ বলে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ২১টি সিঙ্গেল নেয়। বাউন্ডারি মারে মাত্র ৩টি (১ ছক্কা ও ২ চার)।

বল হাতে আমিরাতের আয়ান আফজাল খান ৩৩ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন মিরাজ।