Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

ভারত-অস্ট্রেলিয়ার খেলা; এবার হলো ‘হ্যাটট্রিক’

ভারত-অস্ট্রেলিয়ার খেলা; এবার হলো ‘হ্যাটট্রিক’

ভারত-অস্ট্রেলিয়ার খেলা; এবার হলো ‘হ্যাটট্রিক’

স্পোর্টস ডেস্ক : ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ হোক কিংবা মারকাটারির টি টোয়েন্টি-বৈশ্বিক ফাইনাল মানেই যেন ভারতের বিপড়্গে অস্ট্রেলিয়ানদের উদ্যম উচ্ছ্বাস। 

এজবাস্টনে কমনওয়েলথ গেমসের মঞ্চেও বদলায়নি গল্পটা। হারমানপ্রীত কাউরের দলকে ৯ রানে হারিয়ে কমনওয়েলথ গেমসে নারীদের টি টোয়েন্টির প্রথম সোনা জিতলো ম্যাগ ল্যানিংয়ের দল। 

২০২০ সালের ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি এবং ২০০৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপসহ এ নিয়ে তৃতীয়বার ক্রিকেটের বৈশ্বিক মঞ্চের ফাইনালে মুখোমুখি হয়ে তিনবারই ভারতকে হারের তিক্ত স্বাদ দিল অস্ট্রেলিয়া।

ফাইনালে ইংল্যান্ড নেই। তবু এজবাস্টনে কমনওয়েলথ শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে  গ্যালারি ছিল দর্শকে ঠাসা। তাদের বেশিরভাগই গলা ফাটিয়েছেন ভারতের হয়ে। 

এই সমর্থনও পারেনি অস্ট্রেলিয়ার বিপড়্গে ফাইনালে ভারতের গল্পটা বদলে দিতে। অথচ  অধিনায়ক হারমানপ্রীত কাউরের ব্যাটে জয়ের কড়্গপথেই হাঁটছিল ভারত। 

১৬২ রান তাড়া করে একটা পর্যায়ে ৩ উইকেটে ১২১ রান তুলে ফেলে তারা। জয়ের জন্য তখন তাদের দরকার ছিল ৩০ বলে ৪৪ রান। হাতে ছিল ৭ উইকেট।   

সোনা জেতাটা তখন সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল ভারতের। কিন্তু অ্যাশলেই গার্ডনার পর পর দুই বলে হাফসেঞ্চুরিয়ান হারমানপ্রীত কাউর এবং পুজা ভাস্ত্রকরকে ফেরানোর পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ভারতের ব্যাটিং লাইন।

আরও পড়ুন: 'সাকিব যে ‘ভুল’ পথে পা বাড়িয়েছেন, সেখান থেকে তাকে ফিরিয়ে আনতে'

২৭ বলে ৩৪ রানে শেষ ৭ উইকেট তুলে নিয়ে বড় ম্যাচের দল সর্বজয়ী অস্ট্রেলিয়া আবারো দেখালে কিভাবে স্নায়ুর চাপ জয় করে অভিষ্ট লড়্গ্যে পৌঁছানো যায়। 

বার্মিংহামের জয়ে ক্রিকেটে অংশ নেওয়া সব আসরের শিরোপার স্বাদও নেওয়া হয়ে গেল ম্যাগ ল্যানিংয়ের দলের। সর্বশেষ তাদের বর্ণীল ট্রফি শোকেসে যোগ হলো কমনওয়েলথ গেমসে প্রথমবার প্রবর্তিত নারীদের টি-টোয়েন্টির শিরোপা ।

জয়ের খুব কাছে গিয়েও সোনা হাতছাড়া হওয়ায় মন খারাপ হারমানপ্রীত কাউরের। তবে দলের সার্বিক পারফরম্যান্সে সতীর্থদের নিয়ে গর্বিত ভারত অধিনায়ক,‘ আমাদের খেলায় আমি খুশি এবং তৃপ্ত। 

আমি জানি সোনা জয়ের খুব কাছে ছিলাম আমরা। কিন্তু সার্বিকভাবে আমাদের পারফরম্যান্স খুব ভালো ছিল। প্রথমবার আমরা কমনওয়েলথ গেমসে খেললাম। রম্নপা জিততে পেরে আমরা খুশি। 

এ পদক জিতে বাড়ি ফিরতে পারলে তা অনুপ্রাণিত করে অন্যদের। এবং তারা ক্রিকেট খেলা শুরম্ন করে। দল হিসাবে আমরাও চাই ছোটদের অনপ্রেরণা যোগাতে। এই ধরনের মঞ্চে ভালো ফল তাদের উত্সাহ বাড়িয়ে দেয়। ’

ভারত তো তবু রম্নপা জিতেছে, স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে ফিরতে হয়েছে একেবারে খালি হাতে। ন্যাট স্কাইবারের দলকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছে নিউজিল্যান্ড। স্বাগতিকদের ১১০ রানে আটকে রেখে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১১.৫ ওভারেই লড়্গ্যে পৌঁছে গেছে নিউজিল্যান্ড।