Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

ভোলায় আর্জেন্টাইন সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, নিহত ১

ভোলায় আর্জেন্টাইন সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, নিহত ১

ভোলায় আর্জেন্টাইন সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, নিহত ১

স্পোর্টস ডেস্ক: ভোলায় আর্জেন্টাইন সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। ভোলা সদর উপজেলায় বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা উপলক্ষে নুডলস পার্টির আয়োজন করে আর্জেন্টিনার সমর্থকরা। নুডলস পার্টিতে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে মো. হৃদয় (২১) নামের এক কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো সাতজন আহত হয়েছেন।  

নিহত হৃদয় উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চেউয়াখালী গ্রামের মো. ইব্রাহীমের ছেলে এবং নাজিউর রহমান কলেজের ডিগ্রির শিক্ষার্থী। আজ বুধবার ভোরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও নিশ্চিত করেন ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন ফকির। স্থানীয়রা জানান, সংঘর্ষ চলাকালে তালহা নামের এক যুবক ক্ষুর দিয়ে হৃদয়কে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। মূলত তালহার ক্ষুরের আঘাতেই সকলে আহত হয়েছেন।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ ডিসেম্বর বিশ্বকাপ ফুটবলের আর্জেন্টিনার খেলা উপলক্ষে সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের চেউয়াখালী গ্রামে হৃদয়সহ স্থানীয় ১০-১৫ জন আর্জেন্টাইন সমর্থক নুডলস পার্টির আয়োজন করেন। এই পার্টিতে তাদের নিজেদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় ইয়ামিন নামের এক যুবকের মাথা ফেটে যায়। 

বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মীমাংসা করে দেওয়ার কথা বলেন। পরে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে স্থানীয় রুবেলের দোকানের কাছে বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষের মোট সাতজন গুরুতর আহত হন। তাদেরকে রাতেই ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

আহতরা হলেন মো. নয়ন (১৭), আব্দুল্লাহ (২৪), মহিউদ্দিন (২৩), লিটন (২২), সাহাবুদ্দিন (২০), মো. আশিক (২০) ও তালহা (২০)। ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন ফকির জানান, দুজনকে আটক করা হয়েছে। তবে আটকের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে পুলিশ।

নিহত হৃদয়ের চাচা মো. ইসমাইল জানান, রাতে দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর পুলিশের ধাওয়া খেয়ে হৃদয় তার খালার বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে সেখান থেকে রাতে বাড়ির উদ্দেশে রওনা করেন। কিন্তু রাতে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। রাতে বাড়ি ফেরার সময় প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে মারধর করে পুকুরে ফেলে দেয় বলে দাবি চাচা ইসমাইলের।