Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী মন্দির, সম্পত্তি জানলে চোখ কপালে উঠবে

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী মন্দির, সম্পত্তি জানলে চোখ কপালে উঠবে

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী মন্দির, সম্পত্তি জানলে চোখ কপালে উঠবে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হাজার হাজার কোটির সম্পত্তি! তাও আবার খোদ ঈশ্বরের! আস্তিকরা ভাবছেন নিশ্চয়ই এ আবার কেমন কথা। জগতে যা কিছু, সবই তো তার। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী মন্দিরের সম্পত্তির পরিমাণ জানলে আপনার চোখ কপালে উঠবে।

বিশ্বের ধনী মন্দির ভারতের তিরুপতি মন্দির। লাখ লাখ ভক্ত সমাগম হয় এই মন্দিরে। এই দেবস্থানের সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে ভক্তকুলে কৌতূহলের সীমা নেই। এ বার সেই সম্পত্তির পরিমাণ প্রকাশ্যে এলো। ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে তিরুপতি মন্দিরের পরিচালন পর্ষদ ‘তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম’ (টিটিডি) মন্দিরের মোট সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে তথ্য পেশ করেছে। 

সারা ভারতে টিটিডির সম্পত্তির পরিমাণ কম নয়। টিটিডি চেয়ারম্যান ওয়াইভি সুব্বা রেড্ডি জানিয়েছেন, মন্দিরের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৮৫ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা। সম্পত্তির খতিয়ান তুলে ধরতে গিয়ে টিটিডি চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘‘দেশ জুড়ে মন্দিরের অছি পরিষদের মোট ৯৬০টি সম্পত্তি রয়েছে। যার মোট মূল্য ৮৫ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা।’’

তিনি আরও জানিয়েছেন, ১৯৭৪ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন সরকারের আমলে টিটিডির বিভিন্ন অছি পরিষদ ১১৩টি সম্পত্তি বিক্রি করেছে। তবে ২০১৪ সালের পর থেকে এখনও পর্যন্ত টিটিডির কোনও সম্পত্তি বিক্রি করা হয়নি জানিয়েছেন রেড্ডি।

সুব্বা রেড্ডি আরও বলেছেন, ‘‘রাজ্য সরকারের নির্দেশানুযায়ী আমার অধীনে টিটিডি অছি পরিষদ সম্পত্তি নিয়ে প্রতি বছর শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে। গত বছর প্রথম শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হয়েছিল। টিটিডির ওয়েবসাইটে সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য সহকারে দ্বিতীয় শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হল।’’

ভক্তদের আবেগের কথা মাথায় রেখে মন্দির পরিচালনায় স্বচ্ছতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে তারা অঙ্গীকারবদ্ধ, এ কথাও উল্লেখ করেছেন টিটিডির চেয়ারম্যান। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ১৪ হাজার কোটিরও বেশি ‘ফিক্সড ডিপোজিট’ (স্থায়ী আমানত) রয়েছে। টাকার পাশাপাশি মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছে ১৪ টনেরও বেশি সোনা সংরক্ষিত রাখা রয়েছে।

তিরুপতি মন্দিরের আরাধ্য ভেঙ্কটেশ্বর। যিনি ভগবান বিষ্ণুর অবতার। বালাজি, গোবিন্দ, শ্রীনিবাস, একাধিক নামে ডাকা হয় এই আরাধ্যকে। তিরুপতিতে টিটিডির প্রধান কার্যালয়। যেখানে প্রায় ১৬ হাজার কর্মী কাজ করেন। ১৯৩২ সালে টিটিডির প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।

তিরুপতি মন্দিরে প্রসাদ হিসাবে বিশ্ববিখ্যাত ‘তিরুপতি লাড্ডু’ দেওয়া হয়। জিআই (জিওগ্র্যাফিক্যাল ইন্ডিকেশন) ট্যাগের স্বীকৃতি পেয়েছে এই লাড্ডু। এক মাত্র এই লাড্ডু বানাতে ও বিক্রি করতে পারবে টিটিডি। প্রতি দিন প্রায় ৭৫ হাজার ভক্তের সমাগম হয় এই মন্দিরে। তারা মন্দিরের জন্য অনুদান (প্রণামী) দেন।