Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কর্মের বাস্তবায়ন করছেন শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘শেখ হাসিনা: প্রাণের প্রদীপ জ্বালিয়ে’ শীর্ষক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি সচিব মনিরুল আলম। বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত সংস্কৃতি সচিব অসীম কুমার দে। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান।

আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন লেখক ও গবেষক কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। ধন্যবাদ জানান বাংলা একাডেমির সচিব এ. এইচ. এম. লোকমান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে শেখ হাসিনাকে নিবেদিত সৈয়দ শামসুল হকের কবিতা আবৃত্তি করেন বরেণ্য বাচিকশিল্পী আহ্কামউল্লাহ। কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা এবং অন্যান্য সম্পাদিত, বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ‘শেখ হাসিনা : প্রাণের প্রদীপ জ্বালিয়ে’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা।

‘শেখ হাসিনা: প্রাণের প্রদীপ জ্বালিয়ে’ শীর্ষক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ। ছবি: ভোরের কাগজ

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মনিরুল আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কর্মের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন করে চলেছেন। তিনি শিক্ষা, কর্মসংস্থান, খাদ্যনিরাপত্তা, নারীর স্বাধীনতা ও ক্ষমতায়ন এবং দুর্যোগ মোকাবেলার নতুন নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে দেশের গৃহহারা মানুষের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা তার মানবিক সাফল্যের অন্যতম।

শেখ হাসিনা নতুন নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছেন এবং ক্লান্তিহীনভাবে সেসব স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন করে চলেছেন উল্লেখ করে মূল প্রবন্ধে আবদুল মান্নান বলেন, শেখ হাসিনা কেবল তার দলের জন্যই নয়, দেশের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ নেত্রী। বঙ্গবন্ধু যেমন আওয়ামী লীগের মধ্য দিয়ে দেশবাসীকে স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতার দিকে পরিচালিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন; সাড়ে সাত কোটি মানুষকে চূড়ান্ত স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করেছিলেন এবং স্বাধীনতা আনয়ন করেছিলেন তেমনি তার রক্ত ও রাজনীতির সুযোগ্য উত্তরাধিকার জননেত্রী শেখ হাসিনাও দেশের আপামর মানুষকে নিয়ে সবসময় ভাবছেন।

সেলিনা হোসেন বলেন, শেখ হাসিনা তার সংগ্রামী পথচলায় একটি জাতিকে সঠিক দিশা দেখিয়েছেন। অমানিশার অন্ধকার থেকে আলোর পথে আমাদের অভিমুখ ঠিক করেছেন। তার জন্মদিনে আমাদের প্রত্যয় হোক অসাম্প্রদায়িক- দারিদ্র্যমুক্ত, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার আশু বাস্তবায়ন।

মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সুনীতি, মানস ও দর্শনের সার্থক উত্তরাধিকার। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার মৌলিক কারুকৃৎ তিনি। দেশ ও জনগণের মাঙ্গলিক অগ্রযাত্রায় শেখ হাসিনা সবসময় তার সৃষ্টিশীলতার প্রকাশ ঘটিয়ে চলেছেন।

অসীম কুমার দে বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে প্রগতির পথে, উন্নয়নের পথে, শান্তির পথে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তার জন্মদিন মানে শুভ ও কল্যাণের পথে আমাদের সবার এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়।

কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী বলেন, শেখ হাসিনা তার ধারাবাহিক নেতৃত্বে বাংলাদেশকে উন্নত-আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে চলেছেন, যা গোটা বিশ্ববাসীর বিস্ময়ের বিষয়।
অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় পর্বে শেখ হাসিনাকে নিবেদন করে সংগীত ও নৃত্য পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির উপপরিচালক মোঃ শাহাদাৎ হোসেন।

এমকে