দেশের মাটিতেই স্পেনের বিপর্যয়, শীর্ষে রোনালদোর পর্তুগাল
স্পোর্টস ডেস্ক: চার বছরে প্রথম বার নিজেদের দেশের মাটিতে কোনও ম্যাচ হেরেছে স্পেন! উয়েফা নেশসনস লিগে তাদের বিরুদ্ধে ২-১ জিতে চমকে দিল সুইজ়ারল্যান্ড। দেশের মাটিতেই স্পেনের বিপর্যয়ে এ-২ গ্রুপে স্পেনকে সরিয়ে শীর্ষে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল।
যারা শনিবার চেক প্রজাতন্ত্রকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে। যদিও ম্যাচে গোল পাননি ম্যান ইউ তারকা। সুইজ়ারল্যান্ডের ম্যানুয়েল আকানজি হেডে প্রথম গোল করেন ২১ মিনিটে। দ্বিতীয়ার্ধে (৫৫ মিনিট) গোল শোধ করে দেন স্পেনের জর্দি আলবা।
কিন্তু তার তিন মিনিট পরেই সুইসরা ২-১ করে দেয় সুযোগসন্ধানী ব্রিল এমবোলোর গোলে। স্পেন তাদের শেষ ৫৬ ম্যাচে এই প্রথম হারল। আর নিজের দেশে হারল ২০০৩ সালের পরে। তাদের শেষ ম্যাচে পর্তুগালকে এখন হারাতেই হবে গ্রুপে শীর্ষে ফিরতে হলে।
ম্যাচের পরে বিরক্ত স্পেন কোচ লুইস এনরিকে বলেছেন, “হার যে কোনও সময়েই অত্যন্ত তিক্ত কিন্তু আমার দল যে ফুটবল খেলে হেরেছে, সেটা কিছুতেই মানা যাচ্ছে না। নিজেরাই জয়ের পথ ক্রমশ জটিল করে তুলেছি। এত বাজে ফুটবল কল্পনা করিনি।”
এনরিকে মনে করেন, “কাতার বিশ্বকাপের আগেই এটাই দলকে সাজিয়ে নেওয়ার সেরা মঞ্চ। কিন্তু মেনে নিতে বাধা নেই, বেশ কিছু জায়গায় এখনও দুর্বলতা রয়ে গিয়েছে। সেটা যত দ্রুত কাটানো যাবে, ততই দলের পক্ষে মঙ্গলের।”
পর্তুগিজদের ৪-০ জয়ে জোড়া গোল করেছেন দিয়োগো দালোত (৩৩ ও ৫২ মিনিট)। অন্য দুই গোলদাতা ব্রুনো ফের্নান্দেস (৪৫+২ মিনিট) ও দিয়েগো জোটা (৮২ মিনিট)। পুরো ম্যাচ মাঠে থাকলেও রোনালদো গোল পাননি। তবে জোটা গোল করেন তার হেডে দেওয়া পাস থেকে।
দলের ফুটবল নিয়ে ম্যাচের পরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন পর্তুগাল দলের কোচ ফের্নান্দো স্যান্টোস। তিনি বলেছেন, “এখনও সেরা ফুটবল খেলেনি পর্তুগাল। তবে দলের খেলায় ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে। কাতার বিশ্বকাপের দিকে তাকিয়ে দলকে সব দিক থেকে শক্তিশালী করে তোলাই আমার একমাত্র লক্ষ্য।”
রোনালদোর গোল না পাওয়া নিয়েও উদ্বিগ্ন নন স্যান্টোস। বলেছেন, “সকলেই রোনালদোর থেকে গোল আশা করে। সেটা খুব স্বাভাবিক। তবে গোল করা ছাড়াও ওর অনেক বাড়তি দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের চারটে গোলের পিছনেই রোনাল্ডোর মস্তিষ্ক কাজ করেছে। সেটাই বড় পাওয়া। আসল জায়গায় ঠিক গোল করে যাবে রোনালদো।”
শনিবারের ম্যাচে রোনালদোর হাতে বল লাগার জন্য চেক প্রজাতন্ত্র একটা পেনাল্টিও পেয়েছিল। তা থেকে প্যাত্রিক সিচ অবশ্য গোল করতে ব্যর্থ হন। গ্রুপে পর্তুগাল শীর্ষে উঠল পাঁচ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট পেয়ে। দ্বিতীয় স্পেনের পয়েন্ট ৮। শেষ ম্যাচ স্পেনের কাছে না হারলেই রোনালদোরা পরের বছরের ফাইনাল পর্বে উঠে যাবেন।