Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

জন্মদিনের শুভেচ্ছা : জননেত্রী শেখ হাসিনা আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন আজ। ১৯৪৭ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের প্রথম সন্তান। শেখ হাসিনা গ্রামবাংলার ধুলামাটি আর সাধারণ মানুষের সঙ্গেই বেড়ে উঠেছেন। তাই গ্রামের সঙ্গে তার নিবিড় সম্পর্ক। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার আজ ৭৬তম জন্মদিন। প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভকামনা রইল আপনার প্রতি। তৃতীয় বিশ্বের এক বিচক্ষণ নেতা হিসেবে বিশ্ব রাজনীতির অঙ্গনে নিজ ভাবচ্ছবিতে উজ্জ্বল। তিনি যে ইতিহাসের পথ বেয়ে হেঁটেছেন, তেমন পথ বেয়ে হাঁটতে সমসাময়িক ইতিহাসে কাউকে খুব একটা দেখা যায়নি। জন্মের পর থেকে দেখেছেন পিতা একজন রাজনৈতিক কর্মী। যেখানেই অন্যায় সেখানেই তাঁর প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচার, পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি সম্পাদন, একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি, ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের কাণ্ডারিসহ জাতীয় জীবনের বহু ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছেন তিনি। স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বড় অর্জন পদ্মা সেতু নির্মাণ তার হাতে হয়েছে। পিতার মতোই অসীম সাহসী, দৃঢ়তায় অবিচল, দেশপ্রেম ও মানবিক গুণাবলিসম্পন্ন একজন আদর্শবাদী নেতা হিসেবে শেখ হাসিনা মানুষের কাছে আজ সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় নেতা। দেশের যে কোনো সংকটে তার নেতৃত্ব দলমত নির্বিশেষে সব রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের কাছে একমাত্র গ্রহণযোগ্য। সেখানে দ্বিতীয় কোনো বিকল্প নেই। বর্তমান বিশ্বে যখন করোনা ভাইরাসের কারণে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে, দেশে দেশে মূল্যবৃদ্ধি ও বেকার সমস্যা জটিল হচ্ছে তখন তিনি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করেছেন। মানুষের জীবিকা নির্বাহে ন্যূনতম উপায় সৃষ্টি করেছেন। শেখ হাসিনার কৃতিত্ব এখানেই। শেখ হাসিনা শুধু জাতীয় নেতাই নন, তিনি আজ তৃতীয় বিশ্বের একজন বিচক্ষণ বিশ্বনেতা হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছেন নতুন ভূমিকায়। একবিংশ শতাব্দীর অভিযাত্রায় দিন বদল ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার কারিগর তিনি। শেখ হাসিনা একজন রাজনীতিবিদ ও রাষ্ট্রনায়ক। এই পরিচয়ের বাইরেও তিনি একজন লেখক। আমরা যদি একনজরে শেখ হাসিনার রচনাবলির দিকে দৃষ্টি দিই দেখব তার অধিকাংশ রচনাই সাধারণ-বঞ্চিত মানুষের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে লেখা। একজন সৃষ্টিশীল লেখক তার লেখায় মানুষকে স্বপ্ন দেখতে প্রাণিত করেন। বাংলার মানুষ মনে করে, শেখ হাসিনা দেশের গর্ব। তার মনুষ্যত্ববোধ ও লোকহিতব্রতী কর্ম রাষ্ট্র ও জনগণের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ। বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরসূরি হিসেবে তিনি পিতার যে গুণগুলোকে উত্তরাধিকার হিসেবে অর্জন করেছেন তার অন্যতম হচ্ছে আবেগ, দেশপ্রেম, স্বজাত্যবোধ, সাহস, সততা এবং মানুষের প্রতি অগাধ বিশ্বাস। বাঙালির সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর যে আত্মার সম্পর্ক, আমরা বিশ্বাস করি বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার হিসেবে শেখ হাসিনার সঙ্গেও বাঙালি একই সম্পর্ক অনুভব করে। প্রত্যাশা রাখছি- তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ হয়ে উঠুক সত্য ও সুন্দরের, ন্যায় ও মনুষ্যত্বের।