Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

খুলনায় ছাড়পত্র পেলেই এশিয়া কাপে সাইফ উদ্দিন

তার নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিমানের টিকিট কেটে রেখেছিল বিসিবির লজিস্টিক বিভাগ। কিন্তু পড়ন্ত বেলায় গিয়ে তাদের সেই টিকিটের নামও পরিবর্তন করতে হয়। স্কোয়াডে তাকে রেখে দল ঘোষণা করেছিলেন নির্বাচকরা। কিন্তু বোলিং ফিটনেস পরীক্ষায় পাশ না করায় মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনকে খেলতে যেতে ছাড়পত্র দেয়নি বিসিবির চিকিৎসা বিভাগ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর ডানহাতি পেস অলরাউন্ডার মিস করেছেন জিম্বাবুয়ে সিরিজও। ঢাকা লিগে ১৪ ম্যাচে ২২ উইকেট নিয়ে তার ফেরা একেবারেই নিশ্চিত ছিল। কিন্তু কাঁধের ইনজুরি তছনছ করে দেয়। শেষমেশ দিল্লি থেকে চিকিৎসা নিয়ে এখন পুরোপুরি সেরে উঠার অপেক্ষায় তিনি।

মিরপুরে আজ বোলিং শেষে ডানহাতি পেসার বলেছেন, ‘কিছুদিন আগে ভারতের দিল্লি থেকে চিকিৎসা নিয়ে এসেছি। এরপর প্রথম ১ সপ্তাহ বিছানায় বিশ্রাম ছিল। ১ সপ্তাহ পর ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করেছি। ২ দিন হলো স্কিলের কাজ শুরু করেছি। আজ ফিজিও বায়েজিদ ভাই আমার বোলিং দেখেছেন। সব মিলিয়ে ইতিবাচক।’

সামনেই এশিয়া কাপ। সাইফ উদ্দিন নিশ্চিত নন তাকে দলে রাখা হবে কিনা। তবে ফিটনেসের কারণেই তার ফেরা আটকে থাকবে। তার ফিটনেসের আসল পরীক্ষা হবে খুলনায়। যেখানে এইচপি ও বাংলা টাইগার্সের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে বাংলা টাইগার্সের হয়ে খেলবেন সাইফ উদ্দিন। খুলনায় এই অনানুষ্ঠানিক ম্যাচে সাইফউদ্দিন নিজেকে প্রমাণ করতে পারলে তাকে ফেরানো হবে মূল দলে।

ফেরার ব্যাপারে সাইফ উদ্দিনও বেশ আত্মবিশ্বাসী, ‘দেবাশীষ দাদার (দেবাশীষ চৌধুরী) সাথে এখনও দেখা হয়নি। বায়েজিদ ভাই পর্যবেক্ষণ করেছেন। কালকেই বোলিং দেখবেন। যদি সব ঠিকঠাক থাকে তাহলে খুলনায় প্র্যাকটিস ম্যাচ (এইচপি ও বাংলাদেশ টাইগার্সের মধ্যে) খেলতে যাব। এশিয়া কাপে থাকব কি থাকব না এটা নির্বাচক ও সংশ্লিষ্টরা দেখবেন। মাঠে খেলতে পারব এতেই খুশি।’

মাঠে ফেরার জন্য সাইফ উদ্দিন কতোটা মুখিয়ে আছেন তা বোঝা গেল কণ্ঠে, ‘প্রত্যেক খেলোয়াড়েরই লক্ষ্য থাকে এশিয়া কাপ খেলা। আমি অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়েও এশিয়া কাপ খেলিনি। দুটি আইসিসি ইভেন্ট খেললেও এশিয়া কাপে খেলা হয়নি। এটা নিয়ে বাড়তি একটা রোমাঞ্চ কাজ করে। যদি সুযোগ পাই অবশ্যই আনন্দিত হব।’

নিজের বোলিং নিয়ে সাইফ উদ্দিন যোগ করেন, ‘প্রথম থেকেই আজ ফুল রানআপে বল করেছি। ইনটেনসিটি হয়তো শতভাগ ছিল না। দিনকে দিন আস্তে আস্তে বাড়াব। যেহেতু আমার শরীর, আমি তো বুঝতে পারছি অবস্থা। আগের চেয়ে ভালো বোধ করছি বলেই আত্মবিশ্বাসী আমি।’