Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

লংমার্চ স্থগিত করলেন ইমরান খান

আগামী জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবিতে রাজধানী ইসলামাবাদ অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি স্থগিত করেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। গতকাল শনিবার রাতে রাওয়ালপিন্ডিতে এ ঘোষণা দেয়ার পরদিন রবিবার (২৭ নভেম্বর) তিনি টুইটে লংমার্চে অংশ নেয়ায় তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। খবর জিও নিউজ ও রয়টার্সের।

ইমরান খান আরও বলেন, ‘লংমার্চ বন্ধের ঘোষণা দেয়া হলেও পাকিস্তানে প্রকৃত স্বাধীনতা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।’

এর আগে গতকাল রাতে লংমার্চ বন্ধের ঘোষণা দিয়ে ইমরান বলেছিলেন, বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় ইসলামাবাদ অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি বন্ধ করা হচ্ছে। তবে পিটিআই দেশটির সব কটি প্রাদেশিক পরিষদ থেকে পদত্যাগ করবে।

গত এপ্রিলে পার্লামেন্টে এক অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা হারানোর পর থেকে আগাম নির্বাচনের দাবিতে দেশজুড়ে সভা-সমাবেশ ও লংমার্চ করছেন ইমরান। গত ২৮ অক্টোবর রাজধানী ইসলামাবাদ অভিমুখে লংমার্চ শুরু করেন তিনি। গত ৩ নভেম্বর পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদ শহরে লংমার্চে হামলায় ইমরান পায়ে গুলিবিদ্ধ হলে লংমার্চ সাময়িক বন্ধ করা হয়। ১০ নভেম্বর ফের শুরু হয় লংমার্চ।

এর মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ রাজপথের আন্দোলন ছেড়ে ইমরানকে দ্রুত পার্লামেন্টে ফেরা ও আলোচনায় বসার আহ্বান জানান।

হামলার পর বিশ্রাম শেষে গতকাল রাওয়ালপিন্ডিতে লংমার্চে যোগ দেন ইমরান। এরপরই তিনি লংমার্চ বন্ধ ও প্রাদেশিক পরিষদ ছাড়ার ঘোষণা দেন।

এর প্রতিক্রিয়ায় রানা সানাউল্লাহ বলেন, ‘তিনি (ইমরান) পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখাওয়ার প্রাদেশিক পরিষদ ভেঙে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। এমনকি অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করা হলেও।’

অন্যদিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেছেন, ‘ইমরান খানের লংমার্চ ব্যর্থ হয়েছে। প্রাদেশিক পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে তিনি নাটক করছেন।’

পিটিআই ইতিমধ্যে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করেছে।

বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, দুটি প্রাদেশিক পরিষদ ও দুটি প্রশাসনিক ইউনিট থেকে বেরিয়ে আসার মধ্য দিয়ে ইমরান দেশটির সরকারকে আগাম নির্বাচনের জন্য চাপ দেয়ার চেষ্টা করছেন।