Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

মিরাজের উপর খুবই খুশি দলের ব্যাটিং পরামর্শক জেমি সিডন্স

মিরাজের উপর খুবই খুশি দলের ব্যাটিং পরামর্শক জেমি সিডন্স

মিরাজের উপর খুবই খুশি দলের ব্যাটিং পরামর্শক জেমি সিডন্স

স্পোর্টস ডেস্ক: বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকে যারা মেহেদি হাসান মিরাজকে দেখছেন, তারা সবাই জানেন জাতীয় দলে অফস্পিনার হিসেবে খেললেও ব্যাটিংটা খুব একটা খারাপ করেন না তিনি। ২০১৬ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতার পেছনে তার ব্যাটিংয়ের অবদানও ছিল অনেক।

পরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার পর বোলিংয়ে ভালো করায় তার মূল পরিচয় হয়ে যায় অফস্পিনার। তবে সুযোগ ব্যাট হাতেও নিজের সামর্থ্যের জানান দিয়েছেন মিরাজ। এরই মধ্যে টেস্ট ক্রিকেটে পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। ওয়ানডেতে ফিফটি করেছেন একাধিক।

এর বাইরে ঘরোয়া ক্রিকেটে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে ওপরের দিকে ব্যাটিং করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে মিরাজের। সবকিছু বিবেচনা করেই মেকশিফট ওপেনার হিসেবে মিরাজকে বিবেচনা করেছে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজম্যান্ট।

শেষ তিন টি-টোয়েন্টিতে সাব্বির রহমানের সঙ্গে মিরাজই নেমেছেন ওপেনিংয়ে। এ তিন ম্যাচে মেহেদি মিরাজ খেলেছেন যথাক্রমে ২৬ বলে ৩৮, ১৪ বলে ১২ ও ৩৭ বলে ৪৬ রানের ইনিংস। তার পারফরম্যান্সে খুবই খুশি দলের ব্যাটিং পরামর্শক জেমি সিডন্স।

মঙ্গলবার আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের পর সিডন্স বলেছেন, ‘মিরাজ বেশ ভালোভাবে এগিয়ে এসেছে। ওর আত্মবিশ্বাস এখন উঁচুতে। আমি ওকে টেস্ট ও ওয়ানডেতে দেখেছি ভালো ব্যাট করতে। সে এখন যা করছে তা পারবে আমি জানতাম। এখন শুধু ওকে বাড়তি লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে টপঅর্ডারে নেমে শট খেলার।’

আর মিরাজ নিজের ভালো খেলার পেছনে টিম ম্যানেজম্যান্টের বিশ্বাস রাখার বিষয়কেই এগিয়ে রাখছেন। তার মতে, সবাই মিলে যে বিশ্বাস রেখেছে তার ওপর সেটিই তাকে নিজের ওপর বিশ্বাস করতে বাধ্য করেছে। আমিরাতের বিপক্ষে ৪৬ রান করে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে এ বিষয়ে কথা বলেছেন মিরাজ।

তার ভাষ্য, ‘খুব ভালো লাগছে। সবচেয়ে বড় কথা আমাকে বিশ্বাস করা হয়েছে। যখন আমাকে বিশ্বাস করা হয়েছে তখন আমিও নিজেকে বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়েছি। তাই এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে সবাই আমাকে বিশ্বাস করেছে এবং সবার বিশ্বাস থেকে আমার নিজেরও বিশ্বাস চলে আসে।’

ওপেনিংয়ে নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে মিরাজ বলেছেন, ‘আমি বড় রান করবো কি করবো না এটা নিয়ে ম্যানেজম্যান্ট চিন্তিত ছিল না। আমার কাছ থেকে চেয়েছিল আমি যেন ইমপ্যাক্ট করি, দলের জন্য ছোট ছোট অবদান রাখি। সেটা আমার জন্যও ভালো হবে, দলের জন্যও ভালো হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘টিম ম্যানেজ্যান্টকে ধন্যবাদ। তারা আমাকে বিশ্বাস করেছে যে আমি ওপেনিং করলে হয়তো ভালো হবে। আমি দেশে যখন খেলেছি কাজ করেছি, জেমিও আমার সঙ্গে কিছুদিন কাজ করেছেন ইনডোরে-আউটডোরে। ওখান থেকে আত্মবিশ্বাসটা পেয়েছি।’

মিরাজের শেষ কথা, ‘যেহেতু বিপিএলে খেলার একটা অভিজ্ঞতা আছে, সেখান থেকেও আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। বিশ্বকাপের আগে আমাদের একটা ভালো পজিশন আছে। যেহেতু একটা সিরিজ জিতেছি, সবাই আত্মবিশ্বাসী এখন। যদি আমাকে সুযোগ দেওয়া হয়, অবশ্যই কাজে লাগাবো।’