Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

ফাইনাল ম্যাচে সতীর্থকে মাঠ থেকে বের করে দিলেন অজিঙ্কা রাহানে

ফাইনাল ম্যাচে সতীর্থকে মাঠ থেকে বের করে দিলেন অজিঙ্কা রাহানে

ফাইনাল ম্যাচে সতীর্থকে মাঠ থেকে বের করে দিলেন অজিঙ্কা রাহানে

স্পোর্টস ডেস্ক: যত বড়ই খেলোয়াড় হোন, স্পোর্টসম্যান স্পিরিট বজায় রেখেই মাঠে খেলতে হবে। সেই কারণে ফাইনাল ম্যাচে সতীর্থকে মাঠ থেকে বের করে দিলেন অজিঙ্কা রাহানে।  নিজের দলের যশস্বী জয়সওয়ালকে মাঠ থেকে বের করে সেটা বুঝিয়ে দিলেন রাহানে।

দলীপ ট্রফির ফাইনালের পঞ্চম দিন দক্ষিণাঞ্চলের রবি তেজার সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে যান পশ্চিমাঞ্চলের ওপেনার যশস্বী। ব্যাপারটা খুব দৃষ্টিকটু জায়গায় চলে যেতেই দ্বিশতরান করা ওপেনারকে মাঠ ছাড়তে বাধ্য করেন রাহানে। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে সেই মুহূর্ত ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। 

দক্ষিণাঞ্চলের ব্যাটার রবি তেজার সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর যশস্বীকে প্রথমে আম্পায়ার সতর্ক করেন। পশ্চিমাঞ্চলের অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানেকেও বিষয়টি সামলাতে এগিয়ে আসতে হয় এবং যশস্বীকে তিনি শান্ত হতে এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বলেছিলেন। 

রবি তেজার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সামলানোর চেষ্টা করেছিলেন রাহানে এবং সাময়িক ভাবে মনে হয়েছিল, বিষয়টির সমাধান হয়ে গিয়েছে। তবে ৫৭তম ওভারে ফের যশস্বী একই কান্ড ঘটান এবং আম্পায়ররা রীতিমতো বিরক্ত হন এবং রাহানেকে ডাকেন। 

এর পরে রাহানে দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা জয়সওয়ালকে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার কারণে মাঠ ছেড়ে বের হয়ে যেতে বলেন। বদলি ফিল্ডার হিসেবে আনা হয়েছিল সত্যজিৎ বাচ্চাকে। 

ম্যাচের পরে রাহানে বলেছিলেন, 'যাই হোক না কেন আপনাকে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়, আম্পায়ার এবং কর্মকর্তাদের সম্মান করতে হবে। এ ভাবেই ক্রিকেট খেলতে হয়। কিছু পরিস্থিতিতে একটি নির্দিষ্ট ধরনের ট্রিটমেন্ট প্রয়োজন। সেই পরিস্থিতিকে সেই পদ্ধতিতে মোকাবেলা করতে হয়েছিল, আমি মনে করি এটি সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল।'  

অবশ্য সেই ঘটনার আট ওভার পরে যশস্বীকে মাঠে ফিরিয়ে আনা হয়। নিজের কাজে লজ্জিত যশস্বী। ম্যাচের শেষে তরুণ ওপেনার বলেন, 'আজ্জু ভাই যাই বলুক না কেন, আমি তা গুরুত্ব সহকারে সেটা মেনে নিই এবং সেটি অনুসরণ করার চেষ্টা করি।'