Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

প্রধানমন্ত্রীকে বরণে প্রস্তুত বন্দরনগরী চট্টগ্রাম

বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সর্বত্রই সাজ সাজ রব। আজ বাদে কাল রবিবার আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চট্টগ্রাম সফর ও পলোগ্রাউন্ডে জনসভাকে ঘিরে এই উৎসবের আমেজ। পলোগ্রাউন্ডে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন তিনি। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চট্টগ্রামের যেসব উন্নয়ন হয়েছে এবং আরো যেসব উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে সে সম্পর্কেও জানাবেন সেদিন। জাতীয় নির্বাচনের সময় যেমন দল বা প্রার্থীর পক্ষে তুমুল প্রচারণা থাকে তার চেয়েও বোধ হয় বেশি প্রচারণায় নেমেছেন আওয়ামী লীগসহ এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। চট্টগ্রামবাসীও উন্মুখ হয়ে আছেন প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে।

১০ বছর আগে ২০১২ সালের ২৮ মার্চ চট্টগ্রামের এই ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ড মাঠে প্রধানমন্ত্রী বিশাল জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন। আগামী ২০২৪ সালে জাতীয় নির্বাচনের আগে চট্টগ্রামে আগামীকালের জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামবাসীকে বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্প উপহার দেবেন। অবশ্য চট্টগ্রামবাসী না চাইতেই প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েছিলেন। আর সে অনুযায়ী বৃহত্তর চট্টগ্রামের ব্যাপক ভৌত কাঠামোর উন্নয়ন হয়েছে ও অনেক উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। আগামীকাল চট্টগ্রামে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২৯টি উন্নয়ন প্রকল্প ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনযোগ্য ৪টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।

রাজনীতিবিদসহ সাধারণ নাগরিক সবাই একবাক্যে স্বীকার করেন যে, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা শুধু প্রতিশ্রæতি নয়, উন্নয়নের বাস্তবায়ন করেছেন এবং করছেন। আগামী নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনার আগামীকালের জনসভাকে নির্বাচনী জনসভার আমেজে করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ। পলোগ্রাউন্ডের মঞ্চটিও তৈরি করা হয়েছে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার আদলে। জনসভাকে সফল করতে প্রতিদিনই নগরী ও জেলার বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ, মিছিলসহ বর্ণাঢ্য প্রচারণা চলছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, নৌকা আকৃতির প্রায় সাড়ে ৩ হাজার বর্গফুটবিশিষ্ট মঞ্চটিতে বসতে পারবেন প্রায় ২০০ জন নেতা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চে বসবেন কারা সেটি চূড়ান্ত করবে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত এসএসএফ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। করোনা নেগেটিভ সনদসহ এসএসএফের সম্মতি সাপেক্ষেই নেতারা মঞ্চে উঠতে পারবেন।

সূত্রমতে, জেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহসভাপতিসহ সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যরা শুধু মঞ্চে বসতে পারবেন। সদস্যরা বসবেন মঞ্চের নিচে সামনের সারিতে। এর পাশাপাশি যেসব সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান কাভার করতে মঞ্চ ও এর আশপাশে থাকবেন ইতোমধ্যে তাদেরও করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর মহাসমাবেশের প্রস্তুতি সম্পর্কে গতকাল শুক্রবার জামালখানে চট্টগ্রাম সিনিয়র্স ক্লাবে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর-দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অতীতে চট্টগ্রামের সব জনসভার রেকর্ড ছাপিয়ে পলোগ্রাউন্ডে আগামী ৪ ডিসেম্বরের জনসভা ইতিহাস সৃষ্টি করবে। কারণ প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় এসে একের পর এক মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। তাই চট্টগ্রামবাসী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে একটি ঐতিহাসিক জনসভা উপহার দেবেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলার সভাপতি সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, কেন্দ্রীয় উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, নগর কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী, উত্তর জেলার সভাপতি এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান প্রমুখ।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, চট্টগ্রামের জনসভায় সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করা হচ্ছে না। আওয়ামী লীগ আগেও এটা করেনি। জনসভায় দলের সভানেত্রী থাকবেন। তিনি যেহেতু দেশের প্রধানমন্ত্রী, তাই তার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে এসএসএফ। জনসভায় জনসমাগমের টার্গেট জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনই হিসাবটা না বলি। এই হিসাব আপনারা (সাংবাদিক) করবেন। জনসভার পর আপনাদের মুখ থেকে শোনার অপেক্ষায় আছি।
নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, পলোগ্রাউন্ড ময়দানে আমরা সবাইকে জায়গা দিতে পারব না। বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা চট্টগ্রাম শহরজুড়ে মাইকের ব্যবস্থা করেছি। জনসভাস্থলের আশপাশে এলএইডি টিভি লাগানো হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রাম সফর সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পাদনের জন্য যানবাহন চলাচলে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিএমপি জানিয়েছে, আগামীকাল সকাল ৮টা থেকে প্রধানমন্ত্রীর সফর শেষ না হওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান সড়কে চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও বন্ধ রাখা হবে। এছাড়া ওইদিন সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত আন্তঃজেলা যাত্রীবাহী এসি ও নন-এসি বাস মহানগরে প্রবেশ করতে পারবে না।

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রচেষ্টায় ইতোমধ্যেই চট্টগ্রাম বন্দর পেয়েছে নতুন রূপ, সংযুক্ত হয়েছে আধুনিক যন্ত্রপাতি, চালু হয়েছে সিটিএমএস, সংযোজিত হয়েছে নতুন নতুন ইয়ার্ড ও সার্ভিস জেটি, বন্দরের সক্ষমতা বেড়েছে বহুগুণ, বেড়েছে রাজস্ব অর্জনের পরিমাণ। নগরের পতেঙ্গা এলাকায় ৪টি জেটি নিয়ে চালু হতে যাচ্ছে পিসিটি। পতেঙ্গা, হালিশহর, কাট্টলি অংশের সমুদ্র পাড়ে তৈরি হচ্ছে মাদার ভেসেল বার্থিং করতে সক্ষমতা সম্পন্ন বে-টার্মিনাল। এছাড়া মহেশখালীতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের কাজও এগিয়ে চলেছে। বাঁশখালীর গন্ডামারা ও মহেশখালীর মাতারবাড়িতে নির্মিত হচ্ছে বৃহৎ আকারের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। দক্ষিণ চট্টগ্রাম, বান্দরবান, কক্সবাজারের সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ সহজতর করতে কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে দুই টিউববিশিষ্ট দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম সুড়ঙ্গ সড়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণ করা হয়েছে। পতেঙ্গা হতে ফৌজদারহাট পর্যন্ত সমুদ্রতীর ধরে নির্মিত হয়েছে মেরিন ড্রাইভ সিটি আউটার রিং রোড। বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরী, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল লাইন হচ্ছে। এর ফলে চট্টগ্রামসহ এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক, সামাজিক অবস্থা এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়ন ও দিনবদলের নেতৃত্ব দেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরণ করতে এবং তার মুখে আগামীর বার্তা শুনতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন চট্টগ্রামবাসী।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড ময়দানে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ও স্থানীয় ইস্যু সম্পর্কে কথা বলবেন। তাই এই জনসভা সফল করে তোলার জন্য আওয়ামী লীগের প্রতিটি স্তরের নেতাকর্মীদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, মহানগর আওয়ামী লীগ সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত। পলোগ্রাউন্ডে শেখ হাসিনার জনসভার মাধ্যমে দেশবাসীকে জানান দিতে হবে আওয়ামী লীগ অবিনশ্বর এবং অপরাজেয় সংঘশক্তি। দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, চট্টগ্রামে শেখ হাসিনার জনসমাবেশের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সমাবেশে আগত লোকজনের সার্বিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

২৯ উন্নয়ন প্রকল্প ও ৪ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন : চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান ভোরের কাগজকে জানান, এদিন প্রধানমন্ত্রী ২৯টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন এবং ৪টি প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপন করবেন। সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের লালদীঘি মাঠে নির্মিত ৬ দফা মঞ্চসহ চট্টগ্রামের ১৮টি স্কুল-কলেজ ভবনের উদ্বোধন করবেন। এছাড়া ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে আধুনিক জাতিসংঘ পার্ক এবং মেরিন একাডেমির আধুনিকীকরণসহ ৪টি প্রকল্পের। কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীনে সীতাকুণ্ড টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, ফটিকছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ এবং রাউজান টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া কোতোয়ালি থানাধীন দারুল উলুম আলীয়া মাদ্রাসার একটি ৬ তলা ভবন এবং সীতাকুণ্ড টেকনিক্যাল স্কুলে একটি ৫ তলা ভবন ও একটি ৪ তলা প্রশাসনিক ভবন, ওয়ার্কশপ, একতলা সার্ভিস এরিয়া ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণসহ ভবন নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীনে কোতোয়ালি থানাধীন গুল-এ জার বেগম সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ তলা ভবন, কাপাসগোলা সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ তলা ভবন, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে ১০ তলা একাডেমিক ভবন, কুসুমকুমারী সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ তলা ভবন, পূর্ব বাকলিয়া সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ তলা ভবন, মিরসরাই উপজেলার করেরহাট কে. এম. উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ তলা ভবন, পাঁচলাইশ থানাধীন বন গবেষণাগার উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ তলা ভবন, বোয়ালমারী উপজেলাধীন হাজী মোহাম্মদ জানে আলম উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ তলা ভবন, পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ তলা ভবন, স›দ্বীপের সন্তোষপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ তলা ভবন এবং ডবলমুরিং থানাধীন সরকারি সিটি কলেজে ১০ তলা একাডেমিক ভবনের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করা হবে।

এছাড়া উদ্বোধন করা হবে পলোগ্রাউন্ড বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি ভবন সম্প্রসারণ এবং খুলশী থানাধীন সিএমপি উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি ভবনের সম্প্রসারণ কাজ। উদ্বোধন করা হবে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘দুইটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন (প্রতিটি ৫০০০ বিএইচপি/ ৭০ টন বোলার্ড পুল) টাগবোট সংগ্রহ’ শীর্ষক প্রকল্প ও ‘চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ড এবং টার্মিনালের জন্য প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ’ শীর্ষক প্রকল্প।

প্রধানমন্ত্রী একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধনের পাশাপাশি আনোয়ারায় বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির আধুনিকীকরণ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন জাতিসংঘ সবুজ উদ্যান স্থাপন প্রকল্প, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে চট্টগ্রামের মিরসরাই ও স›দ্বীপ অংশে জেটিসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণ, বাকলিয়ায় শাহ আমানত সেতুসংলগ্ন স্থানে চট্টগ্রামস্থ বিপিসি ভবন নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।