Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

রাজধানীসহ ১০ বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশ কর্মসূচির তারিখ ঘোষণা বিএনপির


সময়ের কন্ঠস্বর ডেস্ক:জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকাসহ ১০ বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশ করবে বিএনপি।

বুধবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

গত সোমবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দলের এ সিদ্ধান্ত জানাতেই বুধবার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম বিভাগ দিয়ে কর্মসূচি শুরু হবে। শেষ হবে ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে সমাবেশের মধ্য দিয়ে।

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণবিরোধী কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার কর্তৃক চাল, ডাল, জ্বালানি তেল, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য বৃদ্ধি, চলমান আন্দোলনে ভোলায় নুরে আলম ও আব্দুর রহিম, নারায়ণগঞ্জে শাওন, মুন্সিগঞ্জে শহিদুল ইসলাম শাওন ও যশোরে আব্দুল আলিম- মোট ৫ জন হত্যার প্রতিবাদে, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি এবং নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে ৮ অক্টোবর থেকে সারা দেশে বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’

ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম, ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহে, ২২ অক্টোবর খুলনা, ২৯ অক্টোবর রংপুর, ৫ নভেম্বর বরিশাল, ১২ নভেম্বর ফরিদপুর, ১৯ নভেম্বর সিলেট, ২৬ নভেম্বর কুমিল্লা, ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী এবং ১০ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকায় মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা মহানগরীর উত্তর ও দক্ষিণে দলের ঘোষিত ১৬টির মধ্যে ১৪টি সমাবেশ করেছে বিএনপি। মিরপুরের পল্লবীর সমাবেশ শুরুর আগে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হামলায় পণ্ড হয় এবং লালবাগের সমাবেশ স্থগিত করা হয়।

এর আগে ২২ আগস্ট থেকে থানা, উপজেলা, পৌর, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও অন্যান্য সকল মহানগর ২৯ ও ৩০ জুলাই এবং সকল জেলা পর্যায়ে ৩১ জুলাই বিক্ষোভ সমাবেশ করে দলটি।

১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়। এসব কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ভোলায় পুলিশের গুলিতে ছাত্রনেতা নুর আলম, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবদুর রহিম, নারায়ণগঞ্জে যুবদল নেতা শাওন প্রধান ও মুন্সিগঞ্জে শহিদুল ইসলাম শাওন নিহত হয়েছেন।