রোনালদোকে ১ম একাদশে না রাখা নিয়ে মুখ খুললেন পর্তুগিজ কোচ
স্পোর্টস ডেস্ক: আরও একবার প্রচারের সব আলোটুকু কেড়ে নিলেন পর্তুগালের তারকা ফরোয়ার্ড ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। অধিকাংশ সময়ই নতুন নতুন রেকর্ডের কারণে তিনি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এলেও, মঙ্গলবার রাতে তাঁর সঙ্গে যে ঘটনাটি ঘটেছে, তাতে ৩৭ বছর বয়সি এই ফুটবলার একেবারেই খুশি হবেন না।
চলতি ফিফা বিশ্বকাপের শেষ ১৬ রাউন্ডে সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল পর্তুগাল। কিন্তু, এই ম্যাচের প্রথম একাদশে রাখাই হল না ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে। ইতিপূর্বে ২০২২ সালেই সুইজারল্যান্ডের জালে ২ বার বল জড়িয়েছেন রোনাল্ডো। তবে পর্তুগাল ফুটবল দলের 'হেড স্যার' ফার্নান্দো স্যান্তোস রোনালদোর ব্যবহারে একেবারেই খুশি ছিলেন না।
কারণটাও এখন আর কারোর কাছে অজানা নয়। কারণ এই টুর্নামেন্টেরই গত ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে তাকে যথেষ্ট নিষ্প্রভ দেখিয়ে ছিল। সত্যি কথা বলতে কী, দেখে এটাই মনে হচ্ছিল যে তিনি বোধহয় কোনও পরিবর্ত খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নেমেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের ৬৫ মিনিটের মাথায় রোনালদোকে তুলে নিয়েছিলেন স্যান্তোস। কিন্তু, মাঠ ছাড়ার সময় তিনি এমন কিছু অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন যেটা পর্তুগাল কোচের একেবারেই পছন্দ হয়নি। এবার রোনালদোকে ১ম একাদশে না রাখা নিয়ে মুখ খুললেন পর্তুগিজ কোচ।
যদিও স্যান্তোস নিজে জানিয়েছেন, 'রোনাল্ডোকে আমি বহুদিন ধরেই চিনি। ওর সঙ্গে আমার সম্পর্ক সবসময়ই খুব ভালো ছিল। ২০১৪ সালে আমি যখন পর্তুগালে এসেছিলাম, ততদিনে রোনালদো জাতীয় দলে তারকা হয়ে উঠেছে। ওর সঙ্গে আমার কোনও ভুল বোঝাবুঝি হয়নি। আমি আজও মনে করি, যে রোনালদো এই দলের একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার।'
স্যান্তোস আরও যোগ করেন, 'দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচে রোনালদোর বিতর্কিত অঙ্গভঙ্গির সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে দলের প্রথম একাদশে না থাকার কোনও সম্পর্কই নেই। ইতিমধ্যেই ওই ব্যাপারটা মিটে গিয়েছে। ইতিপূর্বে এই দলটার জন্য রোনালদো কী করেছে, সেটাও আমাদের মাথায় রাখা উচিত। সে দলের অন্যতম সেরা ফুটবলার।'