Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

সাভারে দুর্ঘটনা: ঘাতক বাস মালিকের সন্ধান মিলেছে

সাভারের বলিয়াপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাসহ চালক নিহতের ঘটনায় ঘাতক বাস মালিকের সন্ধান মিলেছে। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সাভার হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক গোলাম মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বাস মালিকের নাম জানতে পেরেছি। বাসটির রেজিস্ট্রেশন একটি বেসরকারি ব্যাংকের নামে। জনৈক টিপু সুলতান বাসটি কেনার আগে ওই ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। তিনি টিআর ট্রেডিং হাউজের নামে বাসটি ক্রয় করেন। যেহেতু বাসটির কাগজপত্র মেয়াদউত্তীর্ণ ছিল সেহেতু বাসটির মালিকের নাম অটোমেটিক মামলায় অন্তর্ভুক্ত হবে। 

গোলাম মোস্তফা আরো বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করেছিলাম বাসটি সেইফ লাইন পরিবহনের ব্যানারে চলছিল। কিন্তু পরবর্তীতে জানা যায় দুর্ঘটনার দিন বাসটি নিউ গ্রীন এক্সপ্রেসের ব্যানারে কুষ্টিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকা আসছিল। নিউ গ্রীন এক্সপ্রেস কর্তৃপক্ষকেও মেয়াদউত্তীর্ণ বাস প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে পরিচালনার জন্য দায়ভার বহন করতে হবে। তাদের নামও মামলায় চলে আসবে। আমরা তদন্ত করছি।  

বিআরটিএ’র তথ্য মতে বাসটির ফিটনেস ছিল ২০১৪ সাল পর্যন্ত। ট্যাক্স টোকেন ছিল ১৫ সাল পর্যন্ত এবং রুট পরমিট ছিল না।

এর আগে ৫ জুন রোববার সকাল ৯টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে বাম পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসকে ধাক্কা দেয়। পরে সেটি ডান পাশে থাকা গরু বোঝাই একটি চলন্ত ট্রাককে সামনের দিকে ধাক্কা দিয়ে সড়ক বিভাজনের উপর দিয়ে আরিচামুখী লেনে চলে যায় এবং ওই লেনে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের একটি চলন্ত বাসকে ধাক্কা দেয়।

এতে ঘটনাস্থলেই পরমাণু শক্তি কমিশনের স্টাফ বাসের চালক রাজিব হোসেন নিহত হন। এ সময় কমিশনের ১২ কর্মকর্তাসহ অন্যান্য পরিবহনের মোট অন্তত ২০ জন আহত হন। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা পরমাণু শক্তি কমিশনের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পূজা সরকার ও প্রকৌশলী কাউসার আহম্মেদকে মৃত ঘোষণা করেন। বাসটির চালক মারুফ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। চারদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ফারহানা ইসলাম ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা যান।