Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

শিশু-কিশোরদের জন্য ‘হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’ প্ল্যাটফর্ম চালু

শিশু, কিশোর ও কিশোরীদের জন্য উদ্বোধন করা হলো প্রথম বাংলাদেশি লার্নিং প্ল্যাটফর্ম ‘হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’ (www.hasinaandfriends.gov.bd)।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষ্যে শিশু-কিশোরদের জন্য উপহার হিসেবে বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এই প্ল্যাটফর্মটি উদ্বোধন করে। এর আগে শিশু, কিশোর ও কিশোরীদের জন্য শতভাগ বাংলাদেশি কোনো লার্নিং প্ল্যাটফর্ম ছিল না। ‘হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’-ই বাংলাদেশের প্রথম নিজস্ব লার্নিং প্ল্যাটফর্ম।

জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রায় পাঁচ শতাধিক শিশু-কিশোরের অংশগ্রহণের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয় জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া গিফট ‘হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’। পরিবেশ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সংযোগ- এই চারটি বিষয়ে ৬ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশু, কিশোর ও কিশোরীদের জন্য আলাদা আলাদা শিক্ষণীয় গল্প ও গেমের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে প্ল্যাটফর্মটি। 

বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও উন্নতির ধারাবাহিকতা, মূল্যবোধ, ডিজিটাল এই যুগে কেমন হবে আগামী প্রজন্মের পথচলা; প্রতিদিন এই প্ল্যাটফর্মে গল্প আর গেম খেলার মাধ্যমে সেইসব রপ্ত করতে পারবে ভবিষ্যতের সারথিরা। ‘খেলি শিখি প্রতিদিন’ স্লোগানে প্রধানমন্ত্রীর কাছে গল্প শুনে আর গেম খেলে প্রতিদিন নতুন কিছু শেখার প্ল্যাটফর্ম ‘হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক উপস্থিত সবার সঙ্গে হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস প্ল্যাটফর্ম-এর পরিচয় করিয়ে দেন এবং এর গুরুত্ব তুলে ধরেন। 

অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্টফোনের মাধ্যমে বিশ্বটা এখন হাতের মুঠোয়, এটিতে ইন্টারনেট ব্যবহার করে আমরা পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও নানা বিষয়ে জানতে পারছি। এই শেখার প্রক্রিয়া আনন্দময় হওয়া প্রয়োজন, যাতে খেলতে খেলতে শেখা যায়। ‘হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’ শিশু, কিশোর-কিশোরীদের জন্য তেমনি একটি প্ল্যাটফর্ম। এটির মাধ্যমে তারা জানতে পারবে কীভাবে গাছের যত্ন নিতে হবে, কীভাবে পরিবেশ ও জলবায়ুকে বাঁচাতে হবে। এ বিষয়গুলো সহজভাবে বুঝানোর জন্য আমরা গেম ডিজাইন করেছি। এতে শিশু, কিশোর-কিশোরীরা খেলতে খেলতে শিখতে পারবে ও গাইতে গাইতে জ্ঞান অর্জন করবে।

তিনি আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশের একটি ভিশন আমাদের দিয়েছেন। সেই স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করার জন্য আমাদের দরকার স্মার্ট সিটিজেন। আজকের শিশুরাই স্মার্ট সিটিজেন হয়ে আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। সে কারণে আমরা আইসিটি বিভাগ থেকে শেখ হাসিনার এই উপহারটি আজকে আমাদের দেশের কোটি কোটি শিশু, কিশোর-কিশোরীদের কাছে উন্মুক্ত করছি।

অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম এই প্ল্যাটফর্ম নিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করেন।