Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

সিঙ্গাপুরকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভ সূচনা

এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান চ্যাম্পিয়শিপ

সিঙ্গাপুরকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভ সূচনা

এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান চ্যাম্পিয়শিপের বাছাইপর্বে দারুণ জয় আদায় করে নিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ই গ্রুপের খেলায় ২-১ গোলে সিঙ্গাপুরকে হারিয়েছে যুবারা। বুধবার (৫ অক্টোবর) কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষের ভুলে এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ নষ্ট করল বাংলাদেশ। দূরপাল্লার গোলে সমতায় ফিরল সিঙ্গাপুর।

দ্বিতীয়ার্ধের নিষ্প্রাণ খেলায় প্রাণ ফিরল যোগ করা সময়ে। আরও একবার অমার্জনীয় ভুল করে বসল সফরকারীরা, তাদের আরেকটি আত্মঘাতী গোলে জয় সঙ্গী হলো বাংলাদেশের যুবাদের। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে সিঙ্গাপুরের গোলকিপার আইজ্যাক লি বাধা হয়ে না দাঁড়ালে এগিয়ে যেতে পারতো স্বাগতিকরা। ফরোয়ার্ড নাজিম উদ্দিনের শট আটকে যায় প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের গায়ে।

অবশ্য ১০ মিনিটেই সাফল্য তুলে নেয় বাংলাদেশের যুবারা। বক্সের বাইরে থেকে নাজিম উদ্দিন ক্রস করেছিলেন বক্সে থাকা মিরাজুল ইসলামের দিকে। নাজিমের সেই ক্রস বিপদমুক্ত করতে গিয়ে উল্টো নিজেদের জালে বল জড়ান সিঙ্গাপুর ডিফেন্ডার ব্রেয়ডেন গোহ।

১৫ মিনিটে আবার সুযোগ বাংলাদেশের সামনে। ডানপ্রান্ত থেকে মিরাজুলে কোনাকুনি শট ঠেকান প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক। পরে ২০ মিনিটে অল্পের জন্য রক্ষা বাংলাদেশের। সিঙ্গাপুর মিডফিল্ডার জোনান টানের কাটব্যাক বাংলাদেশ অধিনায়ক ইমরান খানের পায়ে লেগে পোস্টে ঢোকার মুখে হেডে বিপদমুক্ত করেন সিরাজুল ইসলাম রানা।

২৬ মিনিটে মিরাজুলের বাঁকানো ফ্রি-কিক অল্পের জন্য খুঁজে পায়নি জাল। পরের মিনিটের মিরাজের আরেকটি শট ফেরান সিঙ্গাপুর গোলকিপার। বাংলাদেশের আক্রমণ ঠেকিয়ে প্রতি আক্রমণে পরের মিনিটে সমতায় ফেরে সিঙ্গাপুর। রাসুল রামলির পাস থেকে ২৮ মিনিটে মুহাম্মদ শাইজোয়ান দূরপাল্লার শটে হার মানেন বাংলাদেশ গোলকিপার সোহান।

বিরতির পরও লাল সবুজ দলের দাপট চলতে থাকে। তবে কিছুতেই ব্যবধান বাড়ানো যাচ্ছিলো না। একের পর সুযোগ এলেও গোল হচ্ছিলো না। যোগ করা সময়ের শেষের দিকে অবশেষে জয়সূচক গোলটি আসে। রাতুলের লম্বা থ্রো ইন ক্লিয়ার করতে হেড করেছিলেন সিঙ্গাপুরের এক খেলোয়াড়। কিন্তু তার ব্যাক হেড গোলকিপার আইজ্যাক লির শুরু ধরলেও পরে হাত ফসকে জালে জড়ায়। শেষ পর্যন্ত এই গোলেই নিশ্চিত হয় পল স্মলির দলের ৩ পয়েন্ট পাওয়া।

বাছাই পর্বে ১০ গ্রুপে খেলছে ৪৪টি দল। চার গ্রুপে পাঁচটি করে, বাকি ছয় গ্রুপে চারটি করে দল লড়ছে। ১০ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও ছয় সেরা রানার্সআপ দল উঠবে মূল পর্বে। প্রতিদিন দুটি করে ম্যাচ মাঠে গড়াবে, প্রথমটি বিকেল ৪টায়, দ্বিতীয়টি সন্ধ্যা ৭টায়। সাম্প্রতিক বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে নৈপুণ্য দেখিয়ে আসছে বাংলাদেশ। বাহরাইনে স্বাগতিকদের রুখে দিয়ে চমক দেখায় অনূর্ধ্ব-২০ দল। আগামী শুক্রবার ভুটানের বিপক্ষে লড়বে পল স্মলির দল।

এমকে