Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

সিনিয়ররা না থাকলেও বাড়তি চাপ ছিল না: আফিফ

আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ৭ রানের এই জয়ে ব্যাট হাতে বিরাট ভূমিকা রাখেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। এ জন্য হয়েছেন ম্যাচসেরা।

এই দলে সিনিয়রদের মধ্যে আছেন শুধু মোস্তাফিজুর রহমান-মোসাদ্দেক হোসেনরা। নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নেই, মুশফিকুর রহিম অবসরে আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

ম্যাচসেরা আফিফ মনে করেন সিনিয়ররা না থাকলেও বাড়তি কোনো চাপ ছিল না, ‘কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড় না থাকলেও আমাদের ওপর বাড়তি চাপ নেই। আমাদের সবসময় সেরা একাদশই খেলাতে হবে। আশা করি পরের ম্যাচেও আমি রান করতে পারবো।’

বাংলাদেশ টস হেরে ব্যাটিং করতে নামলে ৫০ রান না হতেই হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট। সেই বিপর্যয় সামলে ওঠে আফিফ-সোহানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে। দুজনে ষষ্ঠ উইকেটে ৫৪ বলে ৮১ রানের জুটি গড়ে মাঠ ছাড়েন। ৭ চার ৩ ছয়ে আফিফ খেলেন ৫৫ বলে ৭৭ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।

ম্যাচ শেষে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে আফিফের মন্তব্য চাপের মুখে ব্যাটিং উপভোগ করেন তিনি। আফিফ বলেন, ‘সবসময় চাপের মুখে ব্যাটিং করতে ভালো লাগে। আমি শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করতে চেয়েছিলাম, সফল হওয়ায় ভালো লাগছে।’

শুরুর দিকে উইকেট কঠিন ছিল বলে মনে করেন আফিফ। বাংলাদেশের টপ অর্ডারও দ্রুত ভেঙে পড়ে। ৪৭ রানে নাই হয়ে যায় ৪ উইকেট। শঙ্কা জাগে লড়াকু পুঁজি না পাওয়ার। সেখান থেকে দুর্দান্ত ইনিংস খেলে আফিফ লড়াকু পুঁজি এনে দেন।

আফিফের ভাষ্য, ‘শুরুতে একটু কঠিন ছিল। বল গ্রুপ করছিল। টপ অর্ডার ভালো করতে পারেনি, পরের ম্যাচে ইনশাআল্লাহ ভালো করবে। এটা কোনো সমস্যা না। আমি আর সোহান ভাই ব্যাট করার সময় আস্তে আস্তে উইকেট ভালো হচ্ছিল দেখে আমরা আরও ভালো ব্যাটিং করতে পেরেছি।’