সতীর্থদের সঙ্গে জয়ের সেলিব্রেশন করলেন না রোনালদো
স্পোর্টস ডেস্ক: পর্তুগাল একটা স্বপ্নের রাত কাটিয়েছে। শেষ ১৬-তে সুইজারল্যান্ডকে ৬-১ গোলে পরাস্ত করেছে। এই ম্যাচটা পর্তুগালের কাছে যতটা স্মরণীয় ততটাই খারাপ ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর কাছে। কারণ এই ম্যাচে প্রথম থেকে তিনি দলে ছিলেন না।
কিন্তু এটা তো খেলারই অঙ্গ, অনেকে রোনালদোর প্রথম একাদশে না থাকাটাকে দলের স্ট্র্যাটেজি হিসেবে দেখেছিলেন, কিন্তু রোনালদো যে দলের সিদ্ধান্তে খুশি ছিলেন না তা বোঝা গেছে ম্যাচের মাঝে তার অভিব্যক্তি দেখে। তবে এইসবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠেছে একটি ভিডিও।
ম্যাচ শেষের ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, গোলপোস্টের কাছে দর্শকদের সামনে সেলিব্রেট করছেন পর্তুগাল দলের সদস্যরা আর রোনালদো চলে যাচ্ছেন ড্রেসিংরুমের দিকে। সুইজারল্যান্ডের মত দলকে ৬ গোল দিয়ে দল যেখানে আনন্দে মত্ত সেখানে রোনালদোর বেরিয়ে যাওয়াটা মোটেই ভালোভাবে নেননি সমর্থকরা।
ভিডিওটা ছড়িয়ে পড়তে নিন্দা হয় তাকে নিয়ে। তবে শুধু ম্যাচ শেষ তার বেরিয়ে যাওয়া নয়, সাইডলাইনে বসে থাকার সময়ও দলের গোলের সময় তাকে আনন্দ করতে দেখা যায়নি। শুধু পেপের গোলের পর তিনি পেপের কাছে গিয়ে আনন্দ করেছেন।
বিশ্বকাপের শেষ ১৬-র শেষ ম্যাচটি ছিল পর্তুগাল ও সুইজারল্যান্ডের। এই ম্যাচটি নিয়ে আগে থেকেই দলকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন সুইজারল্যান্ডের জারদান শাকিরি। তার নজরে ছিলেন বিশেষ করে রোনালদো। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচে রোনালদোকে তুলে নেওয়ায় তার দুর্ব্যবহারের জেরে কোচ প্রথম একাদশেই রাখেননি।
তার জায়গায় নামেন গনসালো রামোস। নেমে তিনি হ্যাটট্রিক করেন। তবে পুরো ম্যাচজুড়ে যতবার সাইলাইনের দিকে ক্যামেরা ঘোরানো হয়েছে ততবার দেখা গেছে রোনালদো কিছুটা হতাশ হয়ে বসে আছেন। কোচ ফার্নান্ডো স্যান্টোসের থেকে একাধিকবার তাকে মুখ ঘুরিয়ে নিতেও দেখা যায়।
পরে তিনি মাঠে নামলেও সেভাবে কিছু করতে পারেননি। একটি গোল করলেও তা অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। ম্যাচ শেষ প্রথমত দুই দলের প্লেয়াররা একে অপরের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছিলেন, সেই সময় ছিলেন রোনালদোও। এরপর পর্তুগাল দলের সদস্যরা আলাদা করে আনন্দ করা শুরু করেন।
সেই সময় রোনালদোকে দেখা যায় একা ড্রেসিংরুমের দিকে চলে যেতে। যদিও পরে তিনি সোশাল মিডিয়ায় দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এই জয়ের জন্য। তবে ম্যাচের শেষে পর্তুগাল কোচ স্যান্টোস জানিয়ে দেন, রোনালদোকে প্রথম একাদশে রাখা হয়নি স্ট্র্যাটেজির জন্যই। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তিনি আলাদা কিছু করতে চেয়েছিলেন বলেই জানান।