Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

সুগন্ধা বিচের ঝিনুক মার্কেট উচ্ছেদে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন

কক্সবাজার শহরের সুগন্ধা পয়েন্টস্থ ঝিনুক মার্কেটের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে জেলা প্রশাসন। ওখানে বর্তমানে ৩৮০টি পণ্যসামগ্রীর দোকান বিদ্যুৎ বিচ্ছন্ন অবস্থায় অন্ধকারে রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) মো. মাসুম বিল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে সকালে কক্সবাজার সদরের সহকারী (ভূমি) কমিশার জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।

সুগন্ধা বিচের কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে এসে আমাদের প্রত্যেক দোকানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন—  মার্কেটগুলো উচ্ছেদ করার জন্য উচ্চ আদালতের নির্দেশনা আছে। তাই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের মাধ্যমে উচ্ছেদ শুরু করা হচ্ছে। অথচ এখন আমাদের ব্যবসায়ের উত্তম সময়। কিন্তু দোকান অন্ধকার থাকায় ক্রেতারা পণ্য কিনতে আসছেন না।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুগন্ধা বিচ ঝিনুক মার্কেট সমবায় সমিতির এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা রাজস্ব প্রদানের মধ্য দিয়ে এই দোকানগুলো ব্যবহার করে আসছি। কোনো প্রকার পুনর্বাসন ছাড়া আমাদের উচ্ছেদের ব্যবস্থা নিচ্ছে জেলা প্রশাসন। অথচ এই মার্কেটের উপর নির্ভর করে ৩৮০টি দোকানের প্রায় ৫ হাজার পরিবার চলে। তাছাড়া আমরা প্রতি বছর এক দোকান থেকে ২০ হাজার টাকা করে রাজস্ব দেই জেলা প্রশাসনকে। গত বছর সকলে মিলে ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা রাজস্ব দিয়েছি। এ বছর রাজস্ব না নিয়ে পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদের নামে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।’

ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে সুগন্ধা বিচে ব্যবসায় করে আসছি। আমাদের জীবন জীবিকার একমাত্র উৎস হচ্ছে সুগন্ধা বিচের এই ছোট্ট ব্যবসা। এখান থেকে আমাদের পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদের পাঁয়তারা চলছে। পুনর্বাসন ছাড়া আমাদের উচ্ছেদ করলে আমরা যাবো কোথায়, আমাদের সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়বে। আমরা ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ বহন করবো কীভাবে। তাই আমরা চাই, যদি উচ্ছেদ করতে হয় তবে আগে আমাদের পুনর্বাসন করতে হবে। পুনবার্সন ছাড়া উচ্ছেদ আমরা মানি না।’

এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সৈকতের এ সব দোকানপাট আমরা উচ্ছেদ করে দিবো। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। পরে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।’