ডিজেলের দাম বৃৃদ্ধির পর বাস ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে দূরপাল্লায় ৪০ পয়সা এবং নগরে ৩৫ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। এরপরও বাসে উঠতেই বাড়তি ভাড়া আদায় করছে বাস স্টাফরা। বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ আজ নতুন নয়। এর আগেও বহুবার অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ আছে স্টাফদের। ক্ষুব্ধ যাত্রীদের সঙ্গে বাস স্টাফদের হাতাহাতির ঘটনাও ঘটছে প্রতিনিয়ত। রাজধানীর খিলগাঁও তালতলা থেকে মতিঝিল শাহবাগ মিরপুর রুটে চলাচল করে বাহন নামের একটি বাস। এই রুটের বাসাবো মুগদা থেকে মতিঝিল শাপলা চত্বর চার্টে ভাড়া দেয়া আছে ১০ টাকা। ওয়েবিল সিস্টেম থাকার কারণে বাসাবো থেকে মতিঝিল যেতে ২০ টাকা আদায় করতেন বাস কন্ডাক্টর। গত ১২ আগস্ট বেলা ১২টার দিকে দেখা যায়, বাসের ওয়েবিল সিস্টেম বন্ধ থাকলেও যাত্রীদের কাছ থেকে ২০ টাকা করে আদায় করছিলেন বাস কন্ডাক্টর। এই রুটে নতুন যাত্রীদের কাছ থেকে ২০ টাকা আদায় করলেও নিয়মিত যাত্রীদের কাছে ২০ টাকা আদায় করতে গিয়ে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। বাধ্য হয়ে কন্ডাক্টর অনেককেই বাড়তি টাকা ফেরত দিয়ে দেন। এই রুটে নিয়মিত চলাচলকারী একজন বলেন, ‘এরা একেবারে মগের মুলুক পাইছে। সরকার তেলের দাম বাড়ায় একগুণ, ভাড়া বাড়ায় এক গুণ। এরা বাড়ায় তিন গুণ। আমাদেরকে জিম্মি করে রাখছে।’ আরেকজন ক্ষুব্ধ যাত্রী বলেন, ‘এর আগের ওয়েবিলের নামে এরা চুরি করছে, এখন ডাকাতি শুরু করেছে।’ আমাদের দেশ উন্নয়নশীল হলেও এই দেশে এখনো অনেক নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত মানুষ বসবাস করছে। বাস স্টাফদের আইনের আওতায় নেয়া উচিত বাড়তি ভাড়া আদায়ের জন্য।
মোহাম্মাদ যায়েদ : শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ।
[email protected]com