Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

উত্তাল সাগরে ভেঙে পড়েছে কক্সবাজার সৈকত

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সাগর অস্বাভাবিকভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে। যার প্রভাবে সৈকতজুড়ে তীব্র ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙনের কবলে পড়েছে অন্যতম পয়েন্ট লাবনী সৈকত। এতে পর্যটনে বিরূপ প্রভাব দেখা দিয়েছে। আর দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙন ঠেকাতে জরুরি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ওড়িষ্যা উপকূল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত স্থল নিম্নচাপটি পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট আকারে বর্তমানে ভারতের ছত্তীসসগঢ় ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরো উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে। সমুদ্র বন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

‘কক্সবাজারকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সুস্পষ্ট লঘুচাপ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজারের নিম্না স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০২-০৪ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে চলাচলের জন্য বলা হয়েছে।”

এদিকে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় সৈকতের লাবণী পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, সাগর উত্তাল, জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৪ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। কক্সবাজারে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।

লাবণী পয়েন্টে দায়িত্বরত লাইফ গার্ড কর্মী মোহাম্মদ জহির বলেন, এত উচ্চ জোয়ার আর কোন বছর দেখিনি। এবছর সর্বোচ্চ জোয়ারের পানি আঘাত করছে উপকূলে। এতে সৈকতের মাদ্রাসা পয়েন্ট থেকে শুরু করে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত বালিয়াড়ি ভেঙ্গে যাচ্ছে। একই সঙ্গে ঝুঁকির মুখে পড়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের স্থাপনাও।

শুধু সৈকতের লাবনী পয়েন্ট নয়; মাদ্রাসা পয়েণ্ট থেকে শুরু করে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত উচ্চ জোয়ারে ভাঙছে বালিয়াড়ি। যার কারণে সৌন্দর্যহীন হয়ে পড়ছে সৈকত। আর সৈকতে নামতে গিয়ে অনেক সময় আহত হচ্ছেন পর্যটকরা।

গেলো কয়েকবছর ধরে প্রতিদিন সৈকতে হাটেন কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন অফিসের অতিরিক্ত কমিশনার মো. সামছু-দ্দৌজা। তিনি বলেন, কয়েকবছর ধরে সাগরের বালিয়াড়ির ভাঙন তীব্র হচ্ছে। সারা বিশ্বের ন্যায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কক্সবাজারও পড়ছে। তাই সৈকতের তীব্র ভাঙন রোধে পরিবেশবান্ধব কার্যকরি ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছি।

আর পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ভাঙন ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে কাজ করা হবে। কক্সবাজার পওর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজির সাইফ আহমেদ বলেন, গত কয়েকবছর ধরে সৈকতে ডায়বেটিক পয়েন্ট থেকে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত বর্ষামৗসুমে ভাঙন তীব্র হচ্ছে। এতে প্রাথমিকভাবে সৈকতের মাদ্রাসা পয়েন্ট থেকে লাবণী পয়েন্টের কিছু অংশ জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন রোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

টিএপি