Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

আমিরাত বাংলাদেশের পাশে ছিল, থাকবে: রাষ্ট্রদূত

সংযুক্ত আরব আমিরাত সবসময়ই বাংলাদেশের পাশে ছিল এবং আগামীতেও থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলী আল হামুদি।

তিনি রাষ্ট্রদূত হিসেবে ইতিমধ্যে আমিরাত সরকারের প্রেসিডেন্ট শেখ মুহাম্মাদ বিন জায়েদের কাছে শপথ বাক্য পাঠ করেছেন। অচিরেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত পরিচয়পত্র পেশ করবেন।

যাত্রার প্রাক্কালে শুক্রবার (৩০) সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ প্রসঙ্গে তার আন্তরিকতার কথা তুলে ধরেন আমিরাতে  অবস্থানরত বাংলাদেশের গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা রয়েছে যেগুলো আমাকে আপ্লুত করে। বিশেষ করে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। ধীরে ধীরে বাংলাদেশের প্রতি আমার অনেক মায়া জন্মেছে।বাংলাদেশের মানুষের আন্তরিকতা আমাকে মুগ্ধ করে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠী আমাদের দেশে রয়েছে। এ দেশটির উন্নয়নে তাদের ব্যাপক অবদান রয়েছে। আমার দেশ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে এবং বিভিন্ন সেক্টরে বিনিয়োগের সম্ভাবনাও রয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে এগিয়ে যাওয়া আমার প্রথম কাজ হবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি সংযুক্ত আরব আমিরাতে আসবে। ভিজিট ভিসায় এসে অনেকে কাজ পাচ্ছে না বলে আমি জেনেছি। কিন্তু আমরা চাই না, এখানে এসে মানুষের দূরাবস্থায় পড়ুক।

হামুদি আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আমরা আশা করব, আমিরাতের সঙ্গে দেশটির সুসম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে । যেকোনো সময় আমিরাত বাংলাদেশের পাশে ছিল, থাকবে।

ঘণ্টাব্যাপী আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএই'র সভাপতি শিবলী আল সাদিক, যুগ্ম সম্পাদক এস এম মোদাসসের শাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল শাহীন। এছাড়া, উপস্থিত ছিলেন আমিরাতে অবস্থানরত বাংলাদেশি ব্যবসায়ী এ কে আজাদ।

চলতি বছরের মার্চ মাসে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত থাকাকালীন বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়েছেন বলেও জানান তিনি। আব্দুল্লাহ আলী আল হামুদি নতুন দায়িত্ব পাওয়ার আগে ঢাকায় আমিরাতের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি আমিরাতের হয়ে ২০১৩-১৪ সাল পর্যন্ত ত্রিপলি, লিবিয়ার দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন ছিলেন। ২০১৫-১৭ সাল পর্যন্ত তিনি আমিরাতের কোপেনহেগেন, ডেনমার্কের দূতাবাস প্রতিষ্ঠার সদস্য ছিলেন।