Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ নামে নতুন আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে নিসচা

'সড়ক নিরাপত্তা আইন' নামে নতুন আইন প্রণয়নের দাবি নিসচার

বর্তমান সড়ক নিরাপত্তা আইনে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার বিষয়টি উদ্বেগ জনক ভাবে অনুপস্থিত। এ কারণে ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ নামে নতুন আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন (নিসচা)। একইসঙ্গে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে পুলিশ সহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে আরো সক্রিয় হওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে।

রবিবার (১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলনের চেয়ারম্যান ও চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন এই দাবি জানান। ২২ অক্টোবর ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’ উপলক্ষে নিসচা গৃহীত মাস ব্যাপী কর্মসূচি ও সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাবনার আলোকে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, বাংলাদেশের সড়ক ব্যবহারকারীদের জন্য এখনো ঝুঁকিপূর্ণ। বর্তমান আইন বা নীতি কাঠামোতে পথচারীদের জন্য নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার বিষয়টি উদ্বেগ জনক ভাবে অনুপস্থিত। তাই একটি ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’নামে নতুন আইন প্রণয়নের দাবি জানাচ্ছি-যার মূল কেন্দ্রে থাকবে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা।

তিনি বলেন, আমরা মনে করি সড়ক দুর্ঘটনা ও ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপকতা বহুমাত্রিক হওয়ায় সরকারের একার পক্ষে তা নিরসন করা সম্ভব না। এর জন্য প্রয়োজন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন সংস্থা, প্রতিষ্ঠান এবং বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং কার্যকর উদ্যোগ। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকার ইতিমধ্যে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ প্রণয়ন করেছে। কিন্তু এই আইনে কিছু কার্যকর দিক থাকলেও এর সীমাবদ্ধতা রয়েছে প্রচুর। আইনে যানবাহনের গতিসীমা লঙ্ঘনের শাস্তির বিধান থাকলেও গতিশিমা নির্ধারণ হয়নি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি সড়ক দুর্ঘটনার আচরণগত পাঁচটি মূল ঝুঁকি যেমন অতিরিক্ত গতি, স্ট্যান্ডার্ড হেলমেট ও সিট বেল্ট ব্যবহার না করা, মধ্যক অবস্থায় গাড়ি চালানো, শিশুদের জন্য নিরাপদ আসনের অনুপস্থিতি বিবেচনায় রেখে সার্বিকভাবে সেভ সিস্টেম এপ্রোসের আলোকে যথাযথ আইন ও বিধিমালা বাস্তবায়িত হলে সড়ক নিরাপদ হবে।

তিনি বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর প্রধান দায়িত্ব পুলিশের। তাদের আরো সক্রিয় হতে হবে। তারা সক্রিয় হলে সড়কে আরো শৃঙ্খলা ফিরবে এবং দুর্ঘটনা কমবে।

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। খবর শ্রেণীভুক্ত জাতীয় দিবস হওয়া সত্বেও ২০১৯ সালে ২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসের মূল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেছেন এবং ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইনের কার্যকর প্রয়োগের নির্দেশনা দিয়েছেন। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক সহায়তার জন্য একটি ট্রাস্ট গঠন এবং ফান্ড গঠনের নির্দেশনাও দিয়েছেন।

তিনি বলেন, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নানান কর্মসূচি পালন করবে।

এসএম