বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘আমেরিকাকে আবার মহান করার’ কথা বলে অনেক কিছুই বদলে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ট্রাম্প যেসব বৈরী নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন, সেসব বাতিল করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন বাইডেন। গতকাল মঙ্গলবার এনবিসি নিউজের লাসটার হল্টকে এ সাক্ষাৎকার দেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেন, আমেরিকার জনগণকে নিশ্চিত অবস্থানে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টিতে তিনি গুরুত্বের সঙ্গে নজর দেবেন। নির্বাচনের সময় থেকে এখন পর্যন্ত ট্রাম্পের সঙ্গে তার কোনো সরাসরি কথা হয়নি। ট্রাম্পের মতো বিচার বিভাগকে ব্যবহার করা হবে না বলেও জানান যুক্তরাষ্ট্রের ভাবী প্রেসিডেন্ট।
গত সোমবার ফেডারেল এজেন্সির পক্ষ থেকে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বাইডেনকে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রস্তুতির জন্য চিঠি দেওয়া হয়। বাইডেন জানান, ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার ট্রানজিশন টিমের সঙ্গে আন্তরিকভাবে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। তার দল বর্তমানে গোয়েন্দা ব্রিফিং পাওয়ার জন্য তৎপর রয়েছে।
সংবিধান অনুযায়ী আগামী ২০ জানুয়ারি ক্ষমতার আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর হবে। এর আগে নির্বাচনকালীন ঐতিহ্য ভেঙে সরাসরি বাইডেনের নির্বাচনী মাঠে নামেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তার শাসনামলে দুই দফার ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন বাইডেন। মার্কিন নাগরিকদের অনেকেরই অভিমত বাইডেন প্রশাসনে সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামার প্রভাব থাকবে। কিন্তু বাইডেন বলছেন, তার শাসনামল ওবামার তৃতীয় দফা হবে মনে করার কোনো কারণ নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হতে যাওয়া বাইডেন বলেন, ‘পৃথিবী বদলে গেছে, ট্রাম্পও আমেরিকাকে প্রথম করার কথা বলে দেশকে একা করে দিয়েছেন। তিনি আমেরিকার অনেক কিছুই বদলে দিয়েছেন।’
ওই সাক্ষাৎকারে ক্ষমতা গ্রহণের ১০০ দিনের মধ্যেই তিনি অভিবাসন সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানা বাইডেন। নথিপত্রহীন ১ কোটি ১০ লাখের বেশি অভিবাসীকে আমেরিকায় নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ প্রশস্ত করার আইন প্রস্তাব সিনেটে পাঠাবেন বলেও জানান। এই সময়ের মধ্যেই নাগরিক প্রণোদনা আইন পাস করা হবে।
ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়ায় ট্রাম্প উপস্থিত না থাকলেও কোনো সমস্যা নেই বলে জানিয়েছে এনবিসি নিউজের লাসটার হল্ট। যদি এ ঘটনা ঘটে, আমেরিকার ইতিহাসে এটি হবে নজিরবিহীন।