Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

১ ডিসেম্বরকে ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ ঘোষণার দাবি

মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মাসের প্রথমদিন ১ ডিসেম্বরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এই দাবিতে সমর্থন দিয়েছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. অনুপম সেন। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভায় এই দাবি জানানো হয়।

নগরীর মোমিন রোডে চট্টগ্রাম একাডেমি হলে সংগঠনের জেলা সভাপতি নুরে আলম মন্টুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- নগর কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সহসংগঠনিক সম্পাদক বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমদ, জাহিদ হোসেন শরীফ, ফোরকান উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক সেলিম চৌধুরী, ইফতেখার রাসেল, সাইফুন্নাহার খুশী, রঞ্জন প্রসাদ দাশগুপ্ত, পলাশ বড়ুয়া, নুরুল হুদা চৌধুরী, নাজিম উদ্দিন, পংকজ রায়, ফজলুল হক সিদ্দিকী, সৈকত দাশগুপ্ত প্রমুখ। সভায় ২৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালের সৌজন্যে আজীবন ‘ফ্যামিলি হেলথ কার্ড’ দেয়া হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে গৌরী শংকর চৌধুরী, বাদশা মিয়া, রফিকুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম খান, এস এম নুরুল আমিন বক্তব্য রাখেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অনুপম সেন বলেন, ‘সেক্টর কমান্ডারস ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠন বেশ কয়েক বছর ধরে ১ ডিসেম্বরকে বেসরকারিভাবে মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে পালন করছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতীয় দিবস হিসেবে পালনের দাবি করে আসছে তারা। ২০২১ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি দিনটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে ঘোষণার সুপারিশ করে। কিন্তু সেই সুপারিশ বাস্তবায়নে সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জাতির সেই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মান ও স্মৃতি রক্ষায় একটি দিবস পালনের যৌক্তিকতা রয়েছে। আশা করব, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন আওয়ামী লীগ সরকার এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।’

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা ইউনিট কমান্ডের এক মতবিনিময় সভায়ও একই দাবি এসেছে। বৃহস্পতিবার নগরীর দারুল ফজল মার্কেটে মুক্তিযোদ্ধা ভবনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর ইউনিট কমান্ডার মোজাফফর আহমদ।

মহানগরের ডেপুটি কমান্ডার শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দের পরিচালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- জেলা ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার এ কে এম সরোয়ার কামাল দুলু, সহকারী কমান্ডার এ কে এম আলাউদ্দিন, আবদুর রাজ্জাক, সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম প্রমুখ।

পহেলা ডিসেম্বরকে মুক্তিযোদ্ধা দিবস ঘোষণার দাবি দেড় দশক ধরে উপেক্ষিত থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। একই সঙ্গে বিজয়ের মাসে রাজাকারদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করার আহ্বান জানানো হয়। এদিকে শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড চট্টগ্রাম মহানগর শাখা বিজয়ের মাসের কর্মসূচি শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুল প্রাঙ্গণে অস্থায়ীভাবে নির্মিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।

ডি- এইচএ