Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

১০০ রানেই শেষ ইন্ডিজ, ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ ভারতের

দলের চারজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকে বিশ্রামে রেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পঞ্চম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ভারত। নেতৃত্ব দিয়েছিলেন হার্দিক পাণ্ড্য। তাও জিততে পারলেন না নিকোলাস পুরানরা। ভারতের ৭ উইকেটে ১৮৮ রানের জবাবে ১৫.৪ ওভারে ১০০ রানেই গুটিয়ে গেল ক্যারিবীয়দের ইনিংস। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে জিতল ভারত।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত ঠাসা সূচি। শনিবারই সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় রবিবারের ম্যাচে রোহিত শর্মা, ঋষভ পান্থ, সূর্যকুমার যাদব, ভুবনেশ্বর কুমারকে সাজঘরে রেখেই মাঠে নেমেছিল ভারত। অধিনায়ক, সহ-অধিনায়ককে বিশ্রাম দেয়ায় নেতৃত্বের দায়িত্ব সামলানো হার্দিক টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

শনিবার না খেলা শ্রেয়স আয়ার ও ঈশান কিশন ওপেন করলেন। ঈশান ১৩ বলে ১১ রান করে আউট হলেও উইকেটের অন্য প্রান্তে চেনা মেজাজে দেখা গেল কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ককে। শ্রেয়সের সঙ্গে জুটি বাঁধলেন তিন নম্বরে নামা দীপক হুডা। ৪০ বলে ৬৪ রানের আগ্রাসী ইনিংস এলো শ্রেয়সের ব্যাট থেকে। আটটি চার ও দুটি ছক্কা মারলেন তিনি। দীপক তিনটি চার ও দুটি ছয়ের সাহায্যে করলেন ২৫ বলে ৩৮ রান। তাদের দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে উঠল ৭৬ রান। এ দিন রান পেলেন না সঞ্জু স্যামসন (১১ বলে ১৫), দীনেশ কার্তিক (৯ বলে ১২), অক্ষর পটেল (৭ বলে ৯)। তাতে অবশ্য ভারতীয় দলের ইনিংসে বড় প্রভাব পড়ল না। দুটি চার ও দুটি ছয়ের সাহায্যে হার্দিক খেললেন ১৬ বলে ২৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস। কুলদীপ যাদব (০) ও আবেশ খান (১) অপরাজিত থাকেন শেষে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের মধ্যে এ দিন ভালো বোলিং করলেন ওডিন স্মিথ। ৩৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিলেন তিনি। তার শিকার তালিকায় রয়েছেন সঞ্জু, কার্তিক ও অক্ষর। একটি করে উইকেট পেয়েছেন জেসন হোল্ডার, ডোমিনিক ড্রেকস ও হেডেন ওয়ালশ।

জয়ের জন্য ১৮৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে এই ম্যাচে বিপর্যয়ের মুখে পড়ল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মাত্র ৩৩ রানেই ৩ উইকেট হারান পুরানরা। ওপেন করতে নেমে রান পেলেন না হোল্ডার (০)। অন্য ওপেনার শামার ব্রুকস করলেন ১৩ বলে ১৩ রান। তিন নম্বরে নামা ডেভন টমাসের অবদান ১১ বলে ১০ রান। ক্যারিবিয়ান ইনিংসকে কিছুটা টানলেন চার নম্বরে নামা শিমরন হেটমেয়ার। তাঁর ব্যাট থেকে এল ৩৫ বলে ৫৬ রানের ইনিংস। মারলেন পাঁচটি চার এবং চারটি ছয়। তার আগ্রাসী ইনিংসই কিছুটা মুখ রক্ষা করল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। ২২ গজে তাকে আর কেউই সাহায্য করতে পারলেন না। ব্যর্থ হলেন ক্যারিবীয় অধিনায়কও। পুরান করলেন ৬ বলে ৩ রান। রভম্যান পাওয়েলও (১৩ বলে ৯) রান পেলেন না। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসের ১২তম ওভারে প্রথম বল করতে এসেই পাওয়েল এবং কিমো পলকে (০) সাজঘরে ফেরত পাঠালেন রবি বিষ্ণোই। হেটমেয়ারকেও আউট করলেন তিনি।

৮৯ রানে ৭ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের আর জয় পাওয়া সম্ভব ছিল না। ক্যারিবীয় ইনিংসের লেজ ছেঁটে ফেলতে বেশি সময় নিলেন না ভারতীয় বোলাররা। আয়োজকদের শেষ সাত ব্যাটারের মিলিত রান ১৩। খাতাই খুলতে পারলেন না পাঁচ ব্যাটসম্যান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস শেষ হল ১০০ রানে। ভারত জিতল ৮৮ রানে।

হার্দিক এ দিন বোলিং আক্রমণ শুরু করেন বামহাতি স্পিনার অক্ষরকে দিয়ে। তিনিই বিপক্ষের ইনিংসের কোমর ভেঙে দিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম তিন ব্যাটারই তার শিকার। ১৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিলেন তিনি। কুলদীপ ৩ উইকেট নিলেন ১২ রানে। ভারতের সফলতম বোলার বিষ্ণোই নিলেন ১৬ রানে ৪ উইকেট। হার্দিক অবশ্য বল হাতে সফল হলেন না। ২ ওভারে ১৯ রান দিলেন এই ম্যাচের অধিনায়ক।

ডি- এইচএ