Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

আজ বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস 

বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস আজ। ‘সামাজিক সুরক্ষা ও কল্যাণ নিশ্চিত করি, শিশুশ্রম বন্ধ করি’  প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবছর দিবসটি পালিত হচ্ছে।

সারা বিশ্বে শিশুশ্রম বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে এই দিবসটি পালন করা হয়। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ১৯৯২ সালে প্রথম শিশুশ্রমের জন্য প্রতিরোধ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মোতাবেক ২০০২ সালের ১২ জুন থেকে আইএলও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিবছর দিবসটি পালন করে আসছে। 

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে শিশু আইন প্রণয়ন ও প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেন। আর বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়ন ও সুরক্ষার বিভিন্ন কার্যক্রমের সাথে জাতীয় শিশু নীতি-২০১১, শিশু আইন-২০১৩, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭ প্রণয়ন করেছে। আর  শিশুশ্রম নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন ২০১৮-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। কেউ যদি শিশু শ্রমিক নিয়োগ করে, তাঁকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হবে। ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত কিশোররা হালকা কাজ করতে পারবে। আগে ১২ বছরের শিশুরা হালকা কাজের এ সুযোগ পেত। শ্রমিকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা ও অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে। 

জানা যায়, বাংলাদেশে বর্তমানে ৩৪ লাখ ৫০ হাজার শিশু শ্রমিক রয়েছে যাদের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত রয়েছে ১২ লাখ ৮০ হাজার শিশু। জরিপে বলা হয়েছে দেশের মধ্যে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা সব থেকে বেশি ঢাকা বিভাগে যা প্রায় সাড়ে ৮ শতাংশ এবং এর পরেই চট্টগ্রামে রয়েছে ৫.৮ শতাংশ শিশু শ্রমিক। দেশের মধ্যে শিশুশ্রম সব চেয়ে কম বরিশালে ১.৭ শতাংশ।

শিশুরাই দেশ ও জাতির কর্ণধার। আজকের শিশুরাই আগামী দিনের দেশ, জাতি ও রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করবে। এজন্য শিশুদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা অত্যাবশ্যক। বাংলাদেশের শ্রমবাজারে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে পুরো দেশ ও জাতি অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। যেহেতু শিশুরা আগামী দিনে দেশ ও জাতির হাল ধরবে তাই শিশুদের শ্রম থেকে মুক্তি দিয়ে শিক্ষায় আলোকিত করতে হবে।

দিবসটি উপলক্ষে আইএলও, ইউনিসেফসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় বেসরকারি সংস্থা দিবসটি বেশকিছু কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচি পালনে এসব সংস্থার সঙ্গে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সমন্বয় করছে। 

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান শিশুশ্রম নিরসনে শ্রম মন্ত্রণালয়সহ এর সাথে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বিভিন্ন অধিদপ্তর, সংস্থার কর্মকর্তাদের আরো আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন, শিল্প মালিকদের কলকারখানায় শিশুদের নিয়োগ না দিতে এবং সমাজের সকল পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি বেসরকারি সংস্থাকে আরো এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। 

তিনি বলেন, এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সরকার সকল প্রকার শিশুশ্রম নিরসনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।