Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

আলোচিত বিচারক মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

বিদেশে পালিয়ে যাওয়া দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর আলোচিত বিচারক মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মুদ্রাপাচার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বেকসুর খালাসের রায় দেয়ার পর পালিয়ে দেশত্যাগ করে তিনি আলোচিত হন।

রবিবার (১২ জুন) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-ঢাকা-১ এ অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন আহাম্মদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফ সাদেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সকালে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় থেকে মামলার অনুমোদন দেয়া হয়। মামলায় প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিচারক মো. মোতাহার হোসেন তার নিজ নামে ও স্ত্রী তাসলিমা বেগম ওরফে আরজুমান্দ আরার (মৃত) নামে অর্জিত জমি বা স্থাবর সম্পদের মোট পরিমাণ ৯.৩২৯৯ একর বা ৯৩৪ শতক। যার দালিলিক মূল্য ১৪ লাখ ১৮ হাজার ৯৯৪ টাকা। স্থাবর সম্পদ ছাড়া মো. মোতাহার হোসেনের নিজ নামে ২৫ লাখ ২৯ হাজার ৭৬১ টাকার অস্থাবর সম্পদ আছে। স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে তার ৩৯ লাখ ৪৮ হাজার ৭৫৫ টাকা সম্পদসহ মোট ৫৩ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে দুদকের অনুসন্ধানে। যার বিপরীতে ৪১ লাখ ৪৭ হাজার ৪৯০ টাকার সম্পদের উৎসের প্রমাণ পাওয়া গেলেও ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৫৬৫ টাকার সম্পদ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত বলে অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে। তাই কমিশন থেকে দুদক ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

ঘুষ হিসেবে ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর বেকসুর খালাস দিয়েছিলেন বিচারক মোতাহার হোসেন। সে সময় তিনি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। যদিও মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আমলে নিয়ে ২০১৪ সালের ২০ জানুয়ারি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। সেই সময় তার বিরুদ্ধে বিদেশ ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞাও জারি করে কমিশন। তবে কমিশন অনুসন্ধান শুরু করার আগেই তিনি মালয়েশিয়া চলে যান। দীর্ঘ ৮ বছরের অনুসন্ধান শেষে তার বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুদক।

এর আগে বিভিন্ন সময়ে বিদেশের সম্পদের তথ্য-প্রমাণ পেতে মালয়েশিয়া ও লন্ডন সরকারের কাছে মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিন্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) পাঠিয়েছিল দুদক। কিন্তু এতোদিনেও কাঙ্ক্ষিত তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।

২০১০ সালের ৬ জুলাই বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচারের মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় দুদক। ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর রায়ে তারেককে বেকসুর খালাস ও মামুনকে অর্থদণ্ডসহ সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।

এসএইচ