Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

আমিরাতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ঘাম ঝরানো জয়

টি-টোয়েন্টিতে সময়টা ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশের। হারের বৃত্তে ঘুরপাক খেয়ে খেয়ে আত্মবিশ্বাস গিয়ে ঠেকেছে তলানিতে। তাইতো সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দলের বিপক্ষেও জিততে ঘাম ঝরাতে হয় বাংলাদেশকে।

রোববার রাতে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে ৭ রানের কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে টাইগাররা। বাংলাদেশের করা ১৫৮ রান তাড়া করতে নেমে আরব আমিরাত অলআউট হয় ১৫১ রানে।

এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সেই পুরনো পথেই হাঁটতে শুরু করেছিল শ্রীরামের শিষ্যরা। ১১ রানে প্রথম, ২৬ রানে দ্বিতীয়, ৩৫ রানে তৃতীয় এবং ৪৭ রান তুলতেই নেই ৪ উইকেট। আসা যাওয়ার মিছিল দেখে মনে হচ্ছিল শতরানেই নিচেই গুটিয়ে যাবে সফরকারীরা।

কিন্তু দেয়াল হয়ে দাঁড়ান আফিফ হোসেন। সঙ্গী হারাতে থাকলেও হাত খুলে মারতে পিছপা হননি এই তরুণ তুর্কি। দলীয় ৭৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় টাইগাররা। এ সময় মোসাদ্দেক ৩ রান করে ফেরেন।

সেখান থেকে দলের হাল ধরেন আফিফ ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ষষ্ঠ উইকেটে তারা দুজন মারমুখী ব্যাটিং করেন। মাত্র ৫৪ বলে তোলেন ৮১ রান। তাতে বাংলাদেশ পায় ১৫৮ রানের লড়াকু পুঁজি।

আফিফ ৫৫ বলে ৭টি চার ও ৩ ছক্কায় ৭৭ রানে অপরাজিত থাকেন। তার সঙ্গে ২৫ বলে ২ চার ও সমান সংখ্যক ছক্কায় ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন সোহান। বাকিদের মধ্যে লিটন দাস ১৩, মেহেদী মিরাজ ১২, ইয়াসির আলী ৪, মোসাদ্দেক ৩ ও সাব্বির রহমান শূন্যরান করেন।

৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে আরব আমিরাতের সেরা বোলার কার্তিক মায়াপ্পন।

রান তাড়া করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও মারমুখী ব্যাটিং করেছেন আমিরাতের ব্যাটসম্যানরা। তাতে ১০.৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৮৩ রান তুলে ফেলেছিল তারা। কিন্তু এরপর আর ভালো জুটি গড়ে না ওঠায় হারতে হয় তাদের। যদিও আয়ান আফজাল খান কার্তিক ও জুনাইন সিদ্দিকী ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে। শেষ পর্যন্ত ১৯.৪ ওভারে ১৫১ রানে অলআউট হয় আরব আমিরাত। বাংলাদেশ পায় ৭ রানের স্বস্তির জয়।

ব্যাট হাতে আমিরাতের চিরাগ সুরি ৭ চারে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন। এছাড়া আয়ান ৩ চারে ২৫, আরিয়ান ১ চার ও ১ ছক্কায় ১৯, অরবিন্দ ২ চারে ১৬ ও ওয়াসিম ১ চার ও ১ ছক্কায় ১৫ রান করেন। বল হাতে বাংলাদেশের মেহেদী হাসান মিরাজ ৩ ওভারে ১৭ রান দেয় ৩টি ও শরিফুল ৩.৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। মোস্তাফিজুর রহমনা ৩১ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।

ম্যাচসেরা হন আফিফ হোসেন ধ্রুব।