Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

আরব আমিরাতকে হোয়াইটওয়াশ করল টাইগাররা

দুয়ারে কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। টাইগাররা বিশ^কাপের আগে নিজেদের প্রস্তুতের লক্ষ্যে দেশ-বিদেশে ক্যাম্প করছে। দুবাইয়ে এক সপ্তাহের ক্যাম্প শেষে দেশে ফিরে নিউজিল্যান্ড যাবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষে বিশ^কাপে অংশ নিতে অস্ট্রেলিয়ায় যাবে সাকিব বাহিনী। দুবাইয়ে টাইগারদের প্রস্তুতি ভাল না হলেও স্বাগতিকদের বিপক্ষে সিরিজ জিতে আত্নবিশ^াস নিয়ে নিউজিল্যান্ড যাচ্ছে টাইগাররা।

দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৩৩ রানে হারিয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে টাইগাররা। সেই সঙ্গে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশের স্বাদ দিয়েছে সোহান বাহিনী। এর আগে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা। চ্যালেঞ্জের জবাব নিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান সংগ্রহ করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২৯ রানে ৪ উইকেট হারালেও অধিনায়ক রিজওয়ান এবং বাসিল হামিদের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ১৩৩ রানে থামে স্বাগতিকদের ইনিংস। রিজওয়ান ৩৬ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন। বাসিল ৩৯ বলে ৪২ রান করে আউট হন। টাইগার বোলারদের মধ্যে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৮ রানে ২ উইকেট লাভ করেন। নাসুম, তাসকিন এবং ইবাদত একটি করে উইকেট লাভ কনে।

এর আগে দুবাই আর্ন্তজাতিক স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আরব আমিরাত। সাব্বির রহমান ওপেনিংয়ে সুবিধা করতে পারেননি। প্রথম ম্যাচে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরার পর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও ফিরলেন ৯ বলে ১২ করে। একটি ছক্কা মেরেছেন, সেটাও ফ্রি-হিটে। কিন্তু মেহেদি হাসান মিরাজ মেকশিফট ওপেনার হিসেবে ভালোই খেলেছেন। ছক্কা মারার তিন বল পরই আউট হয়েছেন সাব্বির। বাঁহাতি স্পিনার আরিয়ান লাকরার বলটি তার পায়ে লাগলে এলবিডব্লিউয়ের আবেদন হয়, আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। দলীয় ২৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর লিটন দাসকে নিয়ে ঝোড়ো জুটি গড়েছেন তিনি। মিরাজ-লিটনের জুটি থেকে ২৭ বলে এসেছে ৪১ রান। নবম ওভারে এসে এই জুটিটি ভেঙেছেন আফজাল খান। কাট করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন লিটন। ২০ বলে ৪ বাউন্ডারিতে তার ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান। লিটনের বিদায়ের পর ক্রিজে এসেই ঝড় তোলেন আফিফ। ২ চার ও ১ ছয়ে মনোযোগ দেন দ্রুত রান তোলায়। আয়ান আফজালকে ৬ হাঁকানোর ১ বল পরেই থামতে হয় তাকে। কার্তিক মায়াপ্পানের দুর্দান্ত ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন ১০ বলে ১৮ রান করে। দলীয় ১২২ রানে আউট হন মিরাজ। এর আগে খেলেন ৩৭ বলে ৫ চারের মারে ৪৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। এরপর ২২ বলে ব্যক্তিগত ২৭ রানে ফিরেন মোসাদ্দেক হোসেন। নুরুল হাসান সোহান ১৯ রানে এবং ইয়াসির আলী ২১ রানে অপরাজিত ছিলেন।আমিরাতের বোলারদের হয়ে সর্বোচ্চ দুইটি উইকেট শিকার করেন আফজাল খান। একটি করে উইকেট নেন আরইয়ান লাকরা, সাবির আলী, কার্তিক মায়াপ্পান। এর আগে প্রথম ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৭ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।