Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

আট মাসে ধর্ষণের শিকার ৫৭৪ কন্যা শিশু

চলতি বছরের আট মাসে (জানুয়ারি থেকে আগস্ট) ৫৭৪ জন কন্যা শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ সময়ে যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৩ জন। যৌতুক দিতে ব্যর্থ হওয়ায় পাঁচজনকে হত্যা করা হয়েছে।

শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে ‘কন্যা শিশু পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন ২০২২’ উপস্থাপনকালে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি এসব তথ্য তুলে ধরেন।

নাছিমা আক্তার জানান, ২৮ জেলায় গত আট মাসে ২ হাজার ৩০১ জন মেয়ে বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। আত্মহত্যা করেছে ১৮১ জন কন্যা শিশু। ১৮৬ জন শিশু হত্যার শিকার হয়েছে।

সংগঠনের সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ আর এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে এগিয়ে যাওয়ার এ সময়েও কন্যাশিশুর জন্মকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হয় না। সামাজিকভাবে ছেলে সন্তান জন্ম দেওয়াকে গৌরবের বিষয় ভাবা হয়। যা আদতে সব কন্যা শিশুর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণই শুধু নয়, এটি কন্যা শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণও বটে।’

তিনি বলেন, ‘কন্যা শিশুদের প্রতি সহিংস আচরণ শুরু হয় একেবারে জন্মলগ্ন থেকে। কিছু ক্ষেত্রে ভ্রূণ অবস্থা থেকেই। কন্যা শিশু ও নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ ও বঞ্চনা প্রতিরোধে কর্মকৌশল নির্ধারণের পাশাপাশি অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কন্যা শিশুদের সার্বিক চিত্র জানা ভীষণ প্রয়োজন।’

জাতীয় কন্যা শিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম অভিযোগ করে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর ধারা ২০(৩)-এ বলা হয়েছে, বিচারের জন্য ধর্ষণ মামলা প্রাপ্তির তারিখ থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালকে কাজ শেষ করতে হবে। আইনে এমন বাধ্যবাধকতা থাকলেও বাস্তবে তা কার্যকর হচ্ছে না।

সংবাদ সম্মেলনে কন্যা শিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের পক্ষ থেকে কিছু সুপারিশও তুলে ধরা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাইল্ড রাইটস অ্যান্ড প্রোটেকশন এডুকোর স্পেশালিস্ট মো. শহীদুল ইসলাম, গুডনেইবারস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মাইনুদ্দিন মাইনুল, হেলেন মনিষা সরকার প্রমুখ।