Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

অবশেষে বাংলাদেশি যুবকের সঙ্গে ছবি তুললেন মেসির স্ত্রী!

অবশেষে বাংলাদেশি যুবকের সঙ্গে ছবি তুললেন মেসির স্ত্রী!

অবশেষে বাংলাদেশি যুবকের সঙ্গে ছবি তুললেন মেসির স্ত্রী!

আরাফাত জোবায়ের: মেসিদের জয়ে উল্লাস করতে করতে ৯৭৪ স্টেডিয়ামের গ্যালারী ছাড়ছেন আর্জেন্টিনার সমর্থকরা। গ্যালারী অনেকটা ফাকা হয়ে গেলেও বাংলাদেশি যুবক মেহেদী জামান সনেট অপেক্ষা করছিলেন; মেসির স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে ছবি তোলার জন্য। মেহেদীর অবস্থান ছিল ১৩৬ নম্বর বক্সের সি সারির ৯ নম্বর আসন। তার একটু উপরের সারি ছিল সংরক্ষিত বিশেষ ব্যক্তিদের জন্য। সেখানেই ছিল মেসির পরিবার।

খেলা শুরুর কিছুক্ষণ পরই সনেট মেসির স্ত্রীকে দেখতে পান। এর পর থেকেই লক্ষ্য ছিল ছবি তোলার। মধ্য বিরতিতে কোনো সুযোগ পাননি। তাই খেলা শেষ হওয়ার অনেক পরেও অপেক্ষা করতে থাকেন। সংরক্ষিত জোন খুবই নিরাপত্তা দ্বারা বেস্টিত। সাধারণ দর্শক সনেটের উপরে যাওয়ার সুযোগ ছিল না।

সনেট তার আসন থেকেই নানা ভাবে চেষ্টা করছিলেন আন্তোনেলার মনোযোগ আকর্ষণের। সংরক্ষিত আসনের সামনে দাড়িয়ে নিরাপত্তা রক্ষীর চোখ রাঙানিও দেখেছেন কয়েকবার। পোল্যান্ড-আর্জেন্টিনা ম্যাচ শেষ হয়েছিল কাতার সময় রাত ১২ টায়। ঘড়ির কাঁটায় একটা বাজলেও গ্যালারিতেই অপেক্ষা করছিলেন সনেট। বাংলাদেশি যুবকের দিকে চোখ পড়তেই মেসির স্ত্রী আন্তোনেলা বুঝতে পারেন তার সঙ্গে ছবির জন্যই এই অপেক্ষা। 

এরপর মেসির স্ত্রীর সঙ্গে ফ্রেমবন্দী হওয়ার ঘটনা বর্ণনা করলেন এভাবে, ‘তিনি আমার দিকে হাত নেড়ে আরও অপেক্ষা করতে বলছিলেন। তার এই হাত নাড়ানোর পর সিকিউরিটি কাচ ঘেরা বক্সের সামনে দাড়ানোর সুযোগ দেয়। তিনি অনেক উপরে ছিলেন। আমার সঙ্গে ছবি তোলার জন্য কয়েক সিড়ি নিচে নামেন এবং বেশ হাসিমুখে ছবি তোলেন।’

ছবি তোলার সুযোগ হলেও মেসির স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারেননি। তবে যতটুকু কাছাকাছি পেয়েছেন এতেই নিজেকে ধন্য মনে করছেন তিনি, ‘আমি মেসির অত্যন্ত ভক্ত। মেসির স্ত্রীর সম্পর্কেও জানি। কাল অতি স্বল্প সময়ে কাছ থেকে দেখে খুবই বিনয়ী লেগেছে তাকে। আমি অপেক্ষা করেছি তিনি সেটা খেয়াল করেছেন এবং দুই মিনিটের মতো সময় ব্যয় করে কয়েক সিড়ি নেমে ছবিও তুলেছেন।’

ফরিদপুরের এই যুবক এখন ব্যবসা করেন। শিক্ষাজীবন থেকেই খেলাধূলার প্রতি ঝোঁক। বিশেষ করে মেসির আর্জেন্টিনা ও বার্সেলোনার প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা। মেসি ও তার পরিবারকে এতটাই ভালোবাসেন যে নিজের বিয়েতে মেসি ও মেসির স্ত্রীর প্ল্যাকার্ডও ছিল। ২০২০ সালে বার্সার ন্যু ক্যাম্পে গিয়ে খেলাও দেখেছেন। বিশ্বকাপে এই প্রথম। পোল্যান্ড আর্জেন্টিনার আগে মেক্সিকোর ম্যাচটিও দেখেছেন। - ঢাকা পোস্ট