Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

অপর্যাপ্ত সড়কবাতি, রাত হলেই ইবিতে ভুতুড়ে পরিবেশ


যায়িদ বিন ফিরোজ, ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে আলোকিত করার জন্য এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের চলাচলের সুবিধার্থে গুরুত্বপূর্ণ সড়কের দুই পাশে রয়েছে সড়কবাতি। তবে যথাযথ তদারকির অভাবে এসব সড়কবাতির বেশিরভাগই বিকল হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও বাতি জ্বলে আবার নিভে। ফলে সন্ধ্যার নামার পর চারদিক অন্ধকার হয়ে যায়। ক্যাম্পাস জুড়ে সৃষ্টি হয় এক ‘ভুতুড়ে’ পরিবেশের। সড়কবাতির এমন বেহাল দশায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই।

ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, জিয়া মোড় এলাকা, আম বাগান চত্বর, ডায়না চত্বর, বঙ্গবন্ধু হল পুকুরপাড় এলাকা, শহীদ মিনার এলাকা, মিলনায়তন এলাকা শিক্ষার্থীদের বিচরণের কেন্দ্রবিন্দু হলেও সেখানে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নেই। এছাড়াও স্মৃতিসৌধে ব্যবহৃত অধিকাংশ বাতিগুলোর প্রাণ যায়-আসে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বর থেকে কেন্দ্রীয় মসজিদে যাওয়ার উভয়পার্শের রাস্তায় কোন ল্যাম্পপোস্ট নেই। অন্যান্য স্থানের ল্যাম্পপোস্টে ব্যবহৃত বাতিগুলোর ক্ষুদ্র আলো পথচারীদের নির্বিঘ্ন চলাচলের অন্তরায়। প্রায়শই ১৭৫ একরের ক্যাম্পাসে রাতে চলাচলের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ফোনের টর্চ ব্যবহার করতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে জানান, অধিকাংশ সড়কেই বাতি নেই। কিছু সড়কবাতি থাকলেও, তা পর্যাপ্ত নয়। আবার কিছু সড়কে অনেক দূর পরপর দু-একটি খুঁটিতে বাতি জ্বলে, তারপর আবার অন্ধকার। এর মধ্যেও কিছু সড়কবাতির ঢাকনা নেই, কোনোটির আবার খুঁটিতে বাতি নেই। যথাযথ মনিটরিং এর অভাবে দীর্ঘদিন ধরে লাইটগুলো নষ্ট হয়ে পরে আছে।

তারা আরও বলেন, ক্যাম্পাসে অনেক ল্যাম্পপোস্টে লাইট নষ্ট, অধিকাংশের শক্তি নেই, জ্বলে নিবু নিবু। পর্যাপ্ত পরিমাণ লাইট না থাকায় অন্ধকারে চলাচলে সমস্যা হয়। এছাড়া ক্যাম্পাসে সাপ’সহ শিয়ালের আনাগোনা রয়েছে। রাতে চলাচলের সুবিধার্থে ও নিরাপত্তায় ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত পরিমাণ লাইটের ব্যবস্থা করা আবশ্যক।

এদিকে অর্থনীতি বিভাগের ৪র্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, ক্যাম্পাসের প্রায় প্রতিটি জায়গায় লাইট নষ্ট আছেই। এছাড়াও কিছু স্থানে ঘন জঙ্গল ও লাইট নাহ থাকায় রাতের ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।

ক্যাম্পাসের সিকিউরিটি ইনচার্জ মোঃ সেলিম বলেন, লাইটের ব্যবস্থা না থাকায় আনসার বাহিনীর ডিউটি দিতে বাধাবিঘ্ন ঘটছে। গত এক সপ্তাহ আগে ক্যাম্পাসের যেসব গুরুত্বপূর্ণ রোডে লাইট নেই সে বিষয়ে আমরা প্রকৌশলী অফিসে নোট পাঠিয়েছি। এটি প্রসেসিং অবস্থায় আছে। আশা করা যাচ্ছে খুব দ্রুত এর সমাধানও হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এস্টেট শাখার উপ-রেজিস্ট্রার মো: মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, নষ্ট বাতি বা এর সংস্কারের বিষয়টি দেখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অফিস। ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত লাইটিং নেই, এবিষয় নিয়ে এর আগেও প্রকৌশলীর সাথে আমার কথা হয়েছে। যেহেতু দায়িত্ব আমাদেরও তাই কীভাবে এই লাইটিং সংকটের সমাধান করা যায় সেবিষয়ে আমি ওনাদের সাথে আবারও কথা বলবো।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ শাখার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ. কে. এম. শরীফ উদ্দীন জানান, পুরাতন বাতিগুলো আলো কম দেয়। এছাড়াও বৃষ্টিপাত হলেই বাতির সার্কিটে সমস্যা হয় যেকারণে সেগুলো লাফালাফি করে। আমরা অকেজো বাতির সন্ধান পেলেই ঠিক করে থাকি। তবে আমাদের লোকবল সংকট থাকায় বাতিগুলো মেন্টেন্যান্সে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, মফিজ লেকের কাজ চলছে। কাজ সমাপ্তি হলেই লেকের দু’পাশে ল্যাম্পপোস্ট লাগানো হবে।