Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

বাজেট বাস্তবায়নের হাল হকিকত

আজ শুক্রবার ৩০ সেপ্টেম্বর বাজেট বর্ষের প্রথম প্রান্তিক শেষ হবে। প্রথম তিন মাসে বাজেট বাস্তবায়নের পরিস্থিতি পর্যালোচনায় কারো আগ্রহ বা দায়িত্ব আছে বলে মনে হয় না। অথচ বাজেট বানাবার বড়জোর মাস দুই আগে থেকে এক পক্ষীয় অজস্র দাবি ও পরামর্শ শুনে বাজেট উপস্থাপিত হয়। সে সময় মিডিয়া, আতেল অর্থনীতিবিদ, সাবেক আমলা সহস্র বচন, বয়ান, পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু সে সবই তো ভবিতব্যেও ভাগাড়ে চলে যায়। চলে যায় না, যদি বাজেট বাস্তবায়ন পরিস্থিতিটা পর্যালোচনার আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা থাকত। যে উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য বাজেট বরাদ্দ, অর্থায়নের যে সংস্থান তা অর্জন হচ্ছে কিনা- সেটার বিচার-বিশ্লেষণ, যথাসময়ে জবাবদিহিতার আওতায় আনা না যায়, তাহলে বছরের শেষে দেখা যাবে তথৈবচ অবস্থা এবং সবারই ‘আমার বলার কিছু ছিল না, আমি চেয়ে চেয়ে দেখলাম’ জাতীয় বক্তব্য শোনা সার হবে। চলতি বাজেট বর্ষের বাজেট বানানোর সময়টা ছিল করোনাকাল শেষ হওয়ার পর ভঙ্গুর অর্থনীতিকে সচল করার কোশেষ এবং বেচারা রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের ওপর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির দোষ চাপানোর মাতম। কিন্তু সেই পরিবেশ ও পরিস্থিতি বর্তমান সময় পর্যন্ত কি অবস্থায় দাঁড়িয়েছে, সে আলোকে বাজেটে সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং বাস্তবায়ন কৌশল আলোচনা-পর্যালোচনার অবকাশ অবশ্যই রয়েছে বা ছিল। গোটা বিশ্বই এখনো করোনা যুদ্ধে, প্রতিদিন যুদ্ধের গতি-প্রকৃতি পাল্টাচ্ছে। মহামারির দুর্যোগকালে গোটা অর্থনৈতিক জীবনযাপন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ ও নিয়ামকের ভূমিকা বাজেটে আনতেই হয়েছিল। সে প্রেক্ষাপটে গতবারের এবং এবারের বাজেটটিকে অবশ্যই ‘অচল অর্থনীতিকে সচল, ক্ষতি পুনরুদ্ধার ও পুনর্বাসনের’ হতে হচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রাক-বাজেট আলোচনার সুযোগ মেলেনি, বৈশ্বিক পর্যায়ে করোনার প্রাদুর্ভাব এবং রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ এখনো যেভাবে গেড়ে বসে আছে, তাতে বিশ্ব ও জাতীয় অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি এবং এর হিসাব-নিকাশের ভিত্তি এখনো বারবার পরিবর্তনীয় অবস্থায়, সেহেতু এ রকম একটা টলটলায়মান ও অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে স্থির প্রাজ্ঞ বাজেট প্রস্তাব পেশ ও পাস বাস্তবসম্মত করা যায়নি। অবস্থাদৃষ্টে প্রতীয়মান হয়, গত দুই-তিনটি বাজেট বর্ষে চলমান এবং সামনের যুদ্ধকালীন সময়ের জন্য বাজেটটি সাময়িক ‘আপদকালীন বাজেট’ আকারে এবং যুদ্ধ শেষে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পূর্ণাঙ্গ বাজেট আসার অবকাশ ছিল বা আছে। আমাদের দেশে একবার বাজেট পাস হলে তা সংশোধনের প্রথা হলো অর্থবছর শেষ হওয়ার মাসে সম্পূরক বাজেট হিসেবে কোনো প্রকার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ও জবাবদিহিতা ছাড়াই পাস হওয়ার।
জিডিপি প্রবৃদ্ধির ধারা ঊর্ধ্বগামী রাখা বা থাকার সুবাদে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের পথ সুগম রাখতে বাজেটের আকার বাড়ানো হয়েছে বিগত বেশ কয়েক বছর। বাড়তি সেই ব্যয়ের অর্থায়ন অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় দ্বারা পূরণ সম্ভব করতে পর্যাপ্ত উপায়-উপলক্ষ তৈরির চেষ্টা থাকলেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় মূলত এবং মুখ্যত কঠিন শর্তের ঋণনির্ভরই হয়েছে অর্থনীতি। ফলে জিডিপির প্রচারিত প্রবৃদ্ধি সংশ্লিষ্ট সব খাতে বাস্তবে মিল পাওয়া যেমন কঠিন হচ্ছে, তেমনি অর্থনীতিতে আয় বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়ে ক্ষমতার বলয় বিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে সমবণ্টন ব্যবস্থাপনাও দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের দ্বারা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কর রাজস্ব জোগানদাতা ব্যাংকিং সেক্টর নিজে নিজে মুখ থুবড়ে পড়লে তাকে টেনে তোলার দরকার ছিল বা আছে। ব্যাংকিং খাতকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ করা হয়েছে, বারবার পুনঃঅর্থায়ন, সুদ মওকুফ, পুনঃতফসিলের মাধ্যমে। স্বয়ম্ভর হয়ে মধ্যম আয়ের পথে হাঁটা, জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে একটি উন্নয়নশীল দেশের জন্য রাজস্ব আয়ই যে মহার্ঘ্য, ক্রমান্বয়ে সফলতার সঙ্গে অভ্যন্তরীণ সম্পদ দিয়েই উন্নয়ন-অনুন্নয়ন ব্যয় নির্বাহের আকিঞ্চন আকাক্সক্ষা পূরণ হওয়ার কথা ছিল বা আছে। আরো ছিল এ জন্য, রাজস্ব আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের বাজেট বাস্তবায়ন সক্ষমতা বৃদ্ধির পারস্পরিক সম্পর্ক জড়িত। একদিকে ট্যাক্স জিডিপি রেশিও বাড়ানো এখনো যেমন মুখ্য চ্যালেঞ্জ, চ্যালেঞ্জ রয়েছে প্রযোজ্য সব করদাতাকে করের আওতায় আনা। একই সঙ্গে সম্পদের সুষম বণ্টন ও বৈষম্য দূরীকরণ কর্মসূচির আবশ্যকতার নিরিখেই অর্থনীতির সব সক্ষম খাত ও ক্ষেত্রকে করের আওতায় আনা জরুরিও। কিন্তু কেন তা আনা যায়নি বা যাচ্ছে না, বাধা কোথায়; পদ্ধতির নাকি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির। এর একটা শুমার সংস্কার অনিবার্য হয়ে উঠেছে, উঠবে এবারের বাজেটবর্ষে।
লক্ষ্যণীয় রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে মতপার্থক্য ইদানীং বেশ বাড়ছে। রাজস্ব আহরণ বাজেটের লক্ষ্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে ইদানীং দেখা যায়, বর্ধিত রাজস্ব আহরণ করতে হবে এই জরুরি দেখিয়ে বড় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হচ্ছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তরফে প্রস্তুতি, কর্মপরিকল্পনা ও পাকাপোক্ত হিসাব কষা বা নিরূপণের ভিত্তিতে হওয়া উচিত, তাহলে কেন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হচ্ছে না তার একটা ব্যাখ্যা আইন সভা পেতে পারতেন এবং তদানুযায়ী পরিস্থিতি উন্নয়নে পদক্ষেপ নিতে পারতেন। বাংলাদেশের প্রথম থেকে পরবর্তী দেড় ডজনেরও বেশি বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কোন কোন খাত বা ক্ষেত্র থেকে বর্ধিত রাজস্ব আহরণ করবে তার একটা তালিকা বাজেট দলিলে দেয়া থাকত। ফলে তা অর্জনে ও জবাবদিহিতে তারা নৈতিকভাবে বাধ্য থাকতেন। যে অর্থনীতি থেকে রেভিনিউ অর্জিত হবে, সেই অর্থনীতি সচল এবং কর রাজস্ব আয়ের উৎস নির্বিঘœ কিনা- এ বিষয়গুলো জানার সুযোগ রাখা হচ্ছে না। রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রাকে হাল্কাভাবে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই, কেননা এই অযৌক্তিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে রাজস্ব দপ্তরের এগ্রিসিভ দৃষ্টিভঙ্গি অর্থনীতি বিকাশের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে, অপরদিকে এই অবাস্তব লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বড় ব্যয়ের প্রবণতা উৎসাহিত হয়, ফলে আলটিমেটলি সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যয় ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম, অপব্যয়ের, দুর্নীতির এবং ঋণগ্রস্ততার শর্করা বৃদ্ধি পায়। অর্থনীতি ডায়াবেটিস আক্রান্ত হয়ে পড়ে। বিগত বেশ কয়েক বছর দেখা যাচ্ছে, ব্যয়ের বাজেট লক্ষ্যমাত্রা পূর্বের বছরের প্রকৃত ব্যয় ও রাজস্ব অর্জনের সঙ্গে সমানুপাতিক হারে স্থিরিকৃত হচ্ছে না। নির্বাচনের আগের, নির্বাচনের এবং নির্বাচনের পরের এই তিন অর্থবছরে বিশাল আকারে ব্যয়ের বাজেট প্রাক্কলিত এবং বাস্তবায়ন অপারগতায় তা সংশোধিতও হতে হয়েছে একই মাত্রায়। এসব সময় রাজস্ব আয়ের প্রকৃত প্রবৃদ্ধি ১৭-২০ শতাংশের মধ্যে থাকলেও ব্যয়ের প্রবৃদ্ধি ২৫-৩২ শতাংশের মধ্যে প্রাক্কলিত হয়েছে আবার বাস্তবায়ন অপারগতায় শেষ মুহূর্তে বড় দাগে সংশোধন করে আয়-ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রাকে বাস্তবায়ন সম্ভব করা হয়েছে। এসব সৃষ্ট অব্যবস্থাপনার দায়ভার ও ধাক্কা এবার বাজেটের ওপর এসে পড়ছে, পড়বে। এতদিন, ‘উন্নয়ন যযবায়’ তা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছিল। বর্তমান অবস্থায় এখন অর্থনীতিকে নিজের কাছে নিজের জবাবদিহির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এখন শুধু মেগা প্রকল্পগুলো শেষ করতে হবে, তবে ব্যয় সাশ্রয়ী হয়ে। আর কর্মসৃজন ও নিম্ন ও মধ্যবিত্তকে টিকিয়ে রাখার কর্মসূচি। উচ্চবিত্তকে নিজের স্বার্থে নিজেকে টিকিয়ে ও গতিশীল ব্যবস্থাপনায় এগিয়ে আসতে হবে। কেননা এতদিনের জিডিপি প্রবৃদ্ধি আয় বৈষম্য বৃদ্ধির প্রেরণায় সীমিত না হয়ে থাকলে, বর্তমানের কঠিন সময় মোকাবিলা কঠিন হওয়ার কথা নয়।
সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় ন্যায়নীতি, নৈতিকতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ধ্রæপদ গতিপথকে (খধি ড়ভ ঘধঃঁৎব) তার নিজস্ব নিয়মে ও গতিতে চলতে তাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চললে প্রাকৃতিক নিয়মেই তা বুমেরাং হয়ে ফিরবে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের উপায় সুযোগ অনুসঙ্গ অনুরঙ্গ কোন পর্যায়ে আছে, তা দেখা দরকার বৈকি। এখন এই মুহূর্তে যেটা বড় প্রযোজন, তা হলো অর্থনীতির চলৎশক্তির প্রাগ্রসরতা, বোধগম্যতা ও সহন ক্ষমতাসংরক্ষণ। বিনিয়োগে অর্থনীতিতে সম্পদ সৃষ্টি হয়, কর্ম সৃজন হয়। কর্ম সৃজিত হলে অন্যান্য আর্থিক কর্মকাণ্ডের প্রসার ঘটে সেখান থেকে জীবন মানের উন্নয়ন যেমন ঘটে তেমনি রাজস্ব আয়ের সংস্থান হয়, যে রাজস্ব আবার পুনঃবিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করে। সুতরাং বিনিয়োগ হওয়ার জন্য পুঁজি ও পরিবেশ প্রয়োজন। সেটি নিশ্চিত হওয়া জরুরি। মোদ্দাকথা বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধি বিনিয়োগ এটি একটি ঘূর্ণায়মান চক্র। প্রবৃদ্ধি হবে না যদি বিনিয়োগ না হয় আবার বিনিয়োগ হবে না প্রবৃদ্ধি না হলে। পাচারকৃত অর্থ ফেরত, দেশের অভ্যন্তরে নিজস্ব সিন্ডিকেট কর্তৃক লুণ্ঠকৃত অর্থ উদ্ধারের মধ্য দিয়ে বেসরকারি বিনিয়োগের বন্ধ্যত্ব ঘোচাতে হবে। এ নিরীখে প্রকল্প নিতে হবে সম্পদ সৃজনকারী ও উপযোগিতার বাছ-বিচারে, যে কোনো প্রকার অনুৎপাদনশীল খাতে এবং গুণগত মান যাচাই যোগ্য হবে না বা নিশ্চিত হবে না- এমন প্রকল্প গ্রহণ পরিহার করে। ভিন্ন উদ্দেশ্যাভিমুখী ভাববিলাস ব্যবস্থার বালুচর থেকে বাস্তবতার শক্ত মাটিতে পা রাখতেই এডিপির প্রকল্প বাছাই ও অর্থ বিতরণ ব্যবস্থায় অগৌণে যথাদৃষ্টি দেয়া অতীব জরুরি।
সমস্যা গোচরে এলে ব্যবস্থা নিতে নিতে সব সীমিত সম্পদ নিঃশেষ হতে দিলে প্রকৃত উন্নয়নের জন্য পুঁজি ও প্রত্যয়ে ঘাটতি হবেই। সমস্যারা পরস্পরের মিত্র। আইনশৃঙ্খলার সঙ্গে ব্যক্তি নিরাপত্তার, ব্যক্তি নিরাপত্তার সঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তার, সামাজিক নিরাপত্তার সঙ্গে আয় উপার্জনের সব কার্যক্রমের কার্যকরণ গত সম্পর্ক রয়েছে। দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামে চাই আয় উপার্জনের সুস্থ স্বাভাবিক পরিবেশ। শিক্ষা কর্মদক্ষতাকে, স্বাস্থ্যসেবা কর্মক্ষমতাকে, কর্মদক্ষতা ও কর্ম ক্ষমতা উৎপাদন ও ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রসার ঘটবে এটাই প্রত্যাশা। সর্বত্র সেই পরিবেশের সহায়তা একান্ত অপরিহার্য, যেখানে সীমিত সম্পদের ও সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহার সম্ভব। একটাকে উপেক্ষা মানে যুগপৎভাবে অন্যান্য অনেক সমস্যাকে ছাড় দেয়া। দ্বিধান্বিত হওয়া, দ্বিমত পোষণ কিংবা প্রথাসিদ্ধবাদী আমলা বেনিয়া মুৎসুদ্ধি মানসিকতার সঙ্গে আপস করার সুযোগ থাকতে নেই। বাজেটে স্বাস্থ্য খাতের নমিনাল বরাদ্দ হ্রাস পাচ্ছিল বহুদিন। করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য খাতের অবকাঠামো ঘাটতির দৈন্যদশায় এটা বেরিয়ে আসছে। বরাদ্দ যাই ছিল তাও দুর্নীতিতে নিঃশেষ, সিন্ডিকেট স্বাস্থ্যসেবার মতো জরুরি ও নৈতিক দায়িত্বপালনকে বার্গেনিংয়ের পর্যায়ে নিয়ে গেছে। সমস্যাগুলোকে এবং সুদূরপ্রসারী প্রতিফলকে বাস্তবতার চশমায় দেখার দরকার অনিবার্য হয়ে উঠবে। করোনাকালের বাজেটে এসবকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখার অবকাশ থাকবে না।

ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ : কলাম লেখক ও উন্নয়ন অর্থনীতির বিশ্লেষক।
[email protected]