Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

বালুমহালের নামে ধ্বংস করা হচ্ছে নদী

নদীকে অস্বীকার করে দেশে উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে উল্লেখ করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, কোনো প্রকার জরিপ ছাড়াই দেশের বিভিন্ন নদ–নদীকে বালুমহাল ঘোষণা করা হচ্ছে। গত ২০ বছরে নদ–নদী ও নদ–নদীসংলগ্ন অঞ্চল থেকে ১৩০-১৪০ ফুট গর্ত করে বালু-পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে কৃষিজমি, বাড়িঘড় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক গোলটেবিল বৈঠকে সৈয়দা রিজওয়ানা এসব কথা বলেন। বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে বেসরকারি সংস্থা এএলআরডি, বেলা ও পানি অধিকার ফোরামে আয়োজনে ‘বালু-পাথর উত্তোলন ও দখল-দূষণে নদ-নদীর বিদ্যমান জীর্ণদশা এবং পরিবেশ সংকট’ শীর্ষক এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা। অন্যদের মধ্যে নেত্রকোণার হাজংমাতা রাশিমনি কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মতিলাল হাজং ও নাগরিক উদ্যোগের নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন বক্তব্য দেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ৬ বছরে সিলেটের পাথরমহালগুলো থেকে সরকার রাজস্ব অর্জন করেছে ৩৮ কোটি ৫০ লাখ। বছরে মাত্র সাড়ে ছয় কোটি টাকার জন্য জাফলং-বিছনাকান্দির নদীগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বালুমহাল আইনের ৫ নম্বর বিধি অনুযায়ী কেউ একক সিদ্ধান্তে বালুমহাল ঘোষণা করতে পারেন না। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে একটি জেলা কমিটি পরিবেশ ও সার্বিক ঝুঁকির বিষয়গুলো তদারক করার কথা। কিন্তু কমিটি নিজেদের দায়িত্ব পালন করে না। উল্টো অভিযোগ দিলে দায়সারা প্রতিবেদন দাখিল করে।

এমকে