Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

‘বাংলাদেশে চিকিৎসা খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বায়োব্যাংক’

বাংলাদেশে চিকিৎসা গবেষণায় সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বায়োব্যাংক। একটি আন্তর্জাতিক মানের বায়োব্যাংক বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ধারণ করারও সামর্থ্য রয়েছে বাংলাদেশের যা চিকিৎসা গবেষণায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।  

জাতিসংঘে বায়োব্যাংকিংয়ের এক সাইড ইভেন্টে বক্তারা এ কথা বলেন।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এ তথ্য জানায়।

নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে বায়োব্যাংকিং, বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি কেস স্ট্যাডি - শীর্ষক এক সাইড ইভেন্টের আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশে বায়োব্যাংক প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব তুলে ধরে চলমান জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনের আওতায় এই বৈজ্ঞানিক সাইড-ইভেন্টের আয়োজন করে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ স্বাস্থ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক‌্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)।

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত এই ইভেন্টে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বায়োব্যাংক বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেন। এই ইভেন্টে সরাসরি ও ভার্চ্যুয়াল প্লাটফর্মে অংশগ্রহণকারীরা যোগ দেন।  

একটি আন্তর্জাতিকমানের বায়োব্যাংক নির্মাণের পাশাপাশি, বক্তারা গবেষণার ক্ষমতা তৈরির গুরুত্বের ওপরও জোর দেন। যাতে স্থানীয় গবেষণাকে বাস্তবে কাজে লাগানোর জন্য গবেষকরা বায়োব্যাংককে যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারেন। এই উদ্যোগটি উন্নয়নশীল দেশগুলোতে একাডেমিক-বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখবে যা জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সহায়তা করবে।  

বায়োব্যাংক বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অস্ট্রিয়ার গ্রাজ মেডিক‌্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কার্ট জাফউকাল, ইতালির ভেরোনা ইউনিভার্সিটির ড. রিটা ললোর, ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার, ফ্রান্স র ড. জিসিস কোজলাকিডিস এবং কাতার বায়োব্যাংকের পরিচালক ড. নাহলা আফিফি এ সময় বক্তব্য রাখেন।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত এবং বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক শরফুদ্দিন আহমেদ।

অনুষ্ঠানটির সার্বিক সমন্বয়ে কাজ করেছেন আইরিশ-বাংলাদেশি ক্যান্সার গবেষক ড. আরমান রহমান, বিএসএমএমিউ-এর অধ্যাপক লায়লা আঞ্জুমান বানু এবং অধ্যাপক সায়েদুর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ড. আরমান রহমান।