Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

বাড়তে-বাড়তে এবার খোলাবাজারে ডলারের দামে রেকর্ড!

বাড়তে-বাড়তে এবার খোলাবাজারে ডলারের দামে রেকর্ড!

বাড়তে-বাড়তে এবার খোলাবাজারে ডলারের দামে রেকর্ড!

এমটি নিউজ২৪ ডেস্ক : বাড়তে-বাড়তে এবার খোলাবাজারে ডলারের দামে রেকর্ড! খোলাবাজারে প্রতি ডলার বিক্রি ১১৫ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। সোমবার দুপুরের দিকে এই উচ্চ দরে লেনদেন হয়। এর আগে গত ২৭ জুলাই খোলাবাজারে ডলারের দর উঠেছিল ১১২ টাকা। 

জানা গেছে, সোমবার খোলাবাজারে প্রতি ডলার ১০৮ থেকে ১০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছিল। সেখান থেকে বাড়তে-বাড়তে তা ১১৫ টাকা ৬০ পয়সায় পৌঁছে। খোলাবাজারের সঙ্গে ব্যাংকের আমদানি, রপ্তানি ও রেমিট্যান্সেও ডলারের দরও বেড়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, খোলাবাজার থেকে যে কেউ ডলার কিনতে পারেন। ব্যাংক থেকে কিনতে পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট করতে হয়। যে কারণে অনেকে এখন খোলাবাজার থেকে ডলার কিনে শেয়ারবাজারের মতো বিনিয়োগ করছেন, যা অবৈধ। 

সূত্র জানায়, সোমবার দুপুরে কার্ব মার্কেটে প্রতি ডলার রেকর্ড ১১৫ টাকা ৬০ পয়সায় বিক্রি হয়েছে। তারপরও চাহিদা অনুযায়ী ডলার মিলছে না। দেশে মুদ্রাবাজারের ইতিহাসে এক দিনে ডলারের বিপরীতে টাকার মানের এতটা অবমূল্যায়ন হয়নি। এর আগে ২৭ জুলাই খোলাবাজারে ডলারের সর্বোচ্চ দর উঠেছিল ১১২ টাকা।

রাজধানীর মতিঝিলে যমুনা মানি এক্সচেঞ্জের স্বত্বাধিকারী আনিসুজ্জামান বলেন, ‘বাজারে ডলারের সংকট। চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত ডলার নেই। অনেকে ডলার কিনে ধরে রাখতে চাইছে। এ জন্য লাগামহীন দর বাড়ছে।’

কার্ব মার্কেটের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ব্যাংকের মতো খোলাবাজারেও ডলারের সংকট দেখা দিয়েছে। প্রবাসীদের দেশে আসা কমেছে, বিদেশি পর্যটকও কম আসছেন। এ কারণে বাজারে ডলারের সরবরাহ কমে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারের বিপরীতে টাকার মান বেশ কিছুদিন ধরেই টানা কমছে। সোমবার আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে বাংলাদেশি মুদ্রা টাকার বিপরীতে ডলারের দর আরও ২৫ পয়সা বৃদ্ধি পায়। এতে প্রতি ডলার ৯৪ টাকা ৯৫ পয়সায় বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে ব্যাংকগুলো এই দরে ডলার কিনেছে।

পাইনিওর এক্সচেঞ্জ হাউজে ডলারের দাম জানতে চাইলে দায়িত্বরত কর্মী জানান, আজকে (সোমবার) সর্বোচ্চ ১১৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে এখন ডলার নেই। চাইলে অন্য হাউজ থেকে এনে দিতে হবে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতেও ১০৭ থেকে ১০৮ টাকা পর্যন্ত দামে নগদ ডলার বিক্রি হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্যাংকগুলোতে এখন আমদানির জন্য ১০০ টাকার নিচে ডলার পাওয়া যাচ্ছে না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১০৭ থেকে ১০৯ টাকায় ডলার কিনে আমদানি দায় মেটাতে হচ্ছে। রেমিট্যান্সের জন্যও ব্যাংকগুলোকে সর্বোচ্চ ১০৮ টাকা দরে ডলার কিনতে হচ্ছে।

দেশে খোলাবাজারে প্রথমবারের মতো ডলার ১০০ টাকার ঘর পেরিয়ে যায় গত ১৭ মে। এরপর আবার কমে আসে। পরে গত ১৭ জুলাই ফের ১০০ টাকা অতিক্রম করে। গত মাসের শেষ দিক নগদ ডলার ১১২ টাকায় উঠেছিল। 

এদিকে ডলারের কারসাজি রোধে খোলাবাজার ও এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোতে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত সপ্তাহ পর্যন্ত কারসাজির অপরাধে পাঁচ মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি ৪২টিকে শোকজ করা হয়েছে। এছাড়া লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করায় ৯টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলা হয়েছে। 

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ডলার বাজারে কারসাজি রোধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত চলবে।