Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

ভাইরাল সেই ইরানি তরুণীকে গুলি করে হত্যা

ইরানে খোলা চুল পেছনে বেঁধে সাহসিকতার সঙ্গে বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হওয়া ২০ বছরের তরুণী হাদিস নাসাফিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তার পেট, ঘাড়, হৃৎপিণ্ড ও হাতে গুলি করা হয়েছে।

হাদিসের ডাকনাম ‘পনিটেইল গার্ল’। অন্য অনেক ইরানি নারী যারা সাহসের সঙ্গে প্রতিবাদ করার জন্য চুল খুলে পুলিশ অফিসারদের মুখোমুখি হয়েছিলেন, তাদেরই একজন হাদিস।

স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, হাদিসের দাফনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যায় সদ্য খনন করা কবরের পাশে তার ছবির পাশে লোকজন কাঁদছে। সেই ভিডিও টুইট করেছেন মাসিহ আলিনেজাদ নামের ইরানের একজন সাংবাদিক ও অধিকারকর্মী।

নিউজউইক ও নিউজডটকমএইউ খবরে বলা হয়, কারাজ শহরে বিক্ষোভ চলাকালে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী তাকে বেশ কয়েকটি গুলি করে। ২০ বছরের হাদিসের এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তিনি মাসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে ইরানজুড়ে বিক্ষোভের প্রতীকে পরিণত হন।

১৬ সেপ্টেম্বর ‘নীতি পুলিশ’–এর হেফাজতে মাসা আমিনি নামের ২২ বছরের এক তরুণীর মৃত্যু ঘিরে ইরানজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এ বিক্ষোভ চলছে।

তেহরানে বিক্ষোভকারীরা ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনির পতন চেয়ে স্লোগান দিয়েছেন। স্লোগানে স্লোগানে তাঁরা বলেছেন, ‘স্বৈরশাসক নিপাত যাক।’

বিক্ষোভের কিছু ছবি প্রকাশ করেছে আইএইচআর। ছবিতে দেখা যায়, নিরাপত্তা বাহিনীর কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ার পরও বিক্ষোভকারীরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।

ইউরোনিউজের খবরে বলা হয়, ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে নারীদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক করে আইন করা হয়। এটি নারীদের কাছে তেমন জনপ্রিয়তা পায়নি। ইরানের নারীরা সাধারণত মাথায় ঢিলেঢালাভাবে স্কার্ফ পরে থাকেন। ১৯৮১ সালে আইনটি কার্যকর করা হলে ব্যাপক বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়েছিল, যা এখনো বিক্ষিপ্তভাবে অব্যাহত রয়েছে।

ইরানের কর্মকর্তারা গতকাল বলেন, বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে ১ হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজধানী তেহরানসহ দেশটির বিভিন্ন এলাকার সড়কে প্রতিদিনই বিক্ষোভ হচ্ছে।

এমকে