Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে ভুল প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগ

Panchagar news
Panchagar news

নাজমুস সাকিব মুন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তার আদালতে ভুল প্রতিবেদন দাখিলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন আব্দুল হাই নামে এক ভুক্তভোগী। গত রবিবার (৪ ডিসেম্বর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট ২৫ জন ভুক্তভোগী কৃষকের পক্ষে এই অভিযোগ জমা দেন তিনি।

লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আরাজি সুন্দরদিঘী মৌজার ১৪৫৫, ১৪৫৬, ১৪৫৭, ১৪৫৮ দাগে ৩৬ বিঘা ও রসুলপুর মৌজায় ১০ বিঘা জমি দীর্ঘ দিন থেকে চাষাবাদ করছেন। সম্প্রতি সোনাহার মল্লিকাদহ ইউনিয়নের মল্লিকাদহ আকন্দপাড়া এলাকার নজর আলীর ছেলে আব্দুর রশিদ ওই জমি নিজের বলে দাবি করে গত ২৫ অক্টোবর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সুন্দরদিঘী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল জলিলকে নির্দেশ দেন। তবে মামলা হলেও এই ঘটনায় কোন প্রকার নোটিশ পাননি বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল জলিল অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করে সম্পূর্ণ জমি আব্দুর রশিদের ভোগদখলে আছে বলে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। এইদিকে আদালতের নির্দেশের প্রেক্ষিতে উল্লেখিত জমিতে ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল জলিলের সরেজমিন উপস্থিত হয়ে তদন্তের কথা থাকলেও তিনি তা করেননি। এমনকি ভুক্তভোগীদের কিছু জানানোই হয়নি এবং ভুক্তভোগীদের কিছু না জানিয়েই ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল জলিল নিজের মনগড়া প্রতিবেদন আদালতে জমা দেন।

সর্বশেষ গত ১৭ নভেম্বর প্রাপ্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী আদালত উল্লেখিত জমিতে ভুক্তভোগীদের (জমি ভোগদখলে আছে যাদের) প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেন। এরই প্রেক্ষিতে আব্দুর রশিদ গত ২৪ নভেম্বর সকাল ১১টায় প্রায় দুইশত ভাড়াটে লোক এনে প্রায় ৪০ বিঘা ফসলের খেতে ট্রাক্টর দয়ে চাষ দেয়। এতে প্রায় ১৬ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন ভুক্তভোগীরা। যদিও আদালত উক্ত ফসলের জমিতে আব্দুর রশিদকে ট্রাক্টর দিয়ে চাষের কোন অনুমতি প্রদান করেন নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. গোলাম ফেরদৌস বলেন, ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল জলিল যে ভুল প্রতিবেদন দাখিল করেছেন প্রাথমিক তদন্তে সেটা উঠে এসেছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাবো।

জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, প্রাপ্ত তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে প্রচলিত বিধি বিধান অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অভিযুক্ত ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল জলিলকে মুঠোফোনে কল করলে তিনি কাল দেখা করবেন বলে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদককে সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ জানান।