Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

বিশ্বজুড়ে জোর চর্চায় ৩ ফুটের পাত্র-পাত্রীর প্রেম কাহিনী

বিশ্বজুড়ে জোর চর্চায় ৩ ফুটের পাত্র-পাত্রীর প্রেম কাহিনী

বিশ্বজুড়ে জোর চর্চায় ৩ ফুটের পাত্র-পাত্রীর প্রেম কাহিনী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাত্রের উচ্চতা ৩ ফুট। পাত্রীর উচ্চতাও একই সমান। পাকিস্তানের বাসিন্দা এমনই এক দম্পতি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ায ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি তারা তাদের লাভ স্টোরি ইউটিউবে শেয়ার করেছেন। তারপর থেকে বিশ্বজুড়ে জোর চর্চায় ৩ ফুটের পাত্র-পাত্রীর প্রেম কাহিনী।

যদিও দম্পতির বিয়ের পর দু'বছরের বেশি সময় পার হয়ে গিয়েছে। এই জুটি এখন ভিডিও বানিয়ে তাদের কথা তুলে ধরেছেন। তাদের জীবন যে সব সময় সহজ পথ ছিল তা নয়, তবে তার মধ্যে তারা সুখী থাকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং তারা খুশি বলেই দাবি করেছেন।

ওই দম্পতির নাম জুরমত ও নবিলা। জুরমত জানিয়েছেন যে রেস্টুরেন্টে নাবিলার বোন তাকে প্রথমবার দেখেন। খাবার খাওয়ার পরে নবিলার বোন তাকে জিজ্ঞাসা করেন যে, তিনি বিবাহিত কি না। তিনি বিবাহিত নন বলে জানালে নবিলার বোন তার মোবাইল নম্বর নিয়ে যান। 

দু'দিন পরে তার ফোন আসে এবং বোন প্রথমবার তাকে নবিলার বিষয়ে জানান এবং বিয়ে নিয়ে কথাবার্তা বলেন। তারা নবিলার ছবিও পাঠিয়েছেন। যখন ফটো দেখেন তখন কেমন লাগে? এ বিষয়ে জুর্মত জানিয়েছেন যে এটা একটা আলাদাই অনুভব ছিল।

নবিলা জানিয়েছেন যে, যখন তিনি জুরমতের ফটো দেখেন, তখন তার ভালই লেগেছিল। নবিলা এবং জুরমত জানিয়েছেন যে, তাদের কাছে বিয়ের প্রস্তাব এর আগেও এসেছিল, কিন্তু কোনওভাবে তা হয়নি। কিছু সম্পর্ক এরকম ছিল যা তাদের পছন্দও হয়নি। 

নবিলা ভিডিওতে নিজের লাভ লাইফের সমস্ত বিষয়ে শেয়ার করেন। তিনি বলেন যে, বাড়িতে নবিলাকে না দেখলে জুরমত চিৎকার করে বাড়ি মাথায় তুলে নেন। জুরমত ঘরের কাজে হাত লাগান। প্রত্যেক জিনিসের খেয়াল রাখেন এবং কোনও জিনিস পছন্দ হলে যদি পকেটে টাকা নাও থাকে তবুও পূরণ আর চেষ্টা করেন।

ইন্টারভিউতে জানিয়েছেন যে লম্বা না হওয়ার কারণে তাদের কিছু কাজকর্মে সমস্যা তৈরি হয়। কিন্তু তাতে দু'জনের মধ্যে কোনও সমস্যা তৈরি হয় না। কারণ দুজনেই একই রকম মানসিকতা এবং উচ্চতার অধিকারী হওয়ায় নিজেরা হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে ফেলেন। 

তারা জানান যে, তাদের মধ্যে কখনও নিজেদের মধ্যে লড়াই হয় না। মনোমালিন্য হলে তারা গান গেয়ে বিষয়টিকে লঘু করে নেন। নাবিলা জানান যে তাদের পুত্র সন্তান হয়েছিল কিন্তু তার মৃত্যু হয়ে যায়। বলতে গিয়ে তিনি কেঁদে ফেলেন। তিনি তার স্বামীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করেন ও সাহায্য করেন।