সারাদেশে পুলিশের চলমান বিশেষ অভিযানে বুধবার (৭ ডিসেম্বর) আরও ২৮৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীর ৫০টি থানা এলাকায় গ্রেপ্তার রয়েছে ২৫৭ জন।
পুলিশের ভাষ্য, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সারাদেশে রাষ্ট্রীয় নানা অনুষ্ঠান থাকে। এসব অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার স্বার্থে জঙ্গি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, মাদক কারবারিসহ বিভিন্ন অপরাধী ধরতে ১ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশেষ অভিযান চলছে।
এ সময় আবাসিক হোটেল, মেস, সড়ক পথের পাশাপাশি রেলস্টেশন ও লঞ্চঘাটে তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে।
ডিএমপি সূত্র বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে রাজধানীতে আরও ২৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ অভিযানে রাজধানীতে ১ হাজার ৫২৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় সাধারণ মানুষ। তবে যে কোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। তারা রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশ পথে তল্লাশি চৌকি বসিয়ে গাড়ির যাত্রীর জিজ্ঞাসাবাদ করছে। একাধিকবার পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদকে অনেকেই ভোগান্তি হিসেবে দেখছেন।
ঢাকা নিকটবর্তী সাভার থেকে রাজধানীতে আসা ফয়সাল এ প্রতিবেদককে জানান, রাজধানীতে প্রবেশের আগে-পরে পুলিশ বাইক থামিয়ে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এ ধরনের পরিস্থিতির মুখে আগে পড়তে হয়নি।
বুধবারও রাজধানীর আবাসিক হোটেল ও বিভিন্ন মেসে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। রাজধানীর কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলস্টেশনে চৌকি বসিয়ে তল্লাশি করা হয়।
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে অভিযান চালায় নৌপুলিশ। এ সময় ঢাকায় আসার কারণসহ অনেকের কাছে রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা রেলওয়ে থানার ওসি ফেরদৌস আহমেদ জানান, মহান বিজয় দিবস সামনে রেখে নিরাপত্তার অংশ হিসেবে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কিন্তু কারও রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চাওয়া হচ্ছে না।
এমকে