Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

বঙ্গবন্ধুকন্যার অপমান সহ্য করব না: কাদের

বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অপমান সহ্য করা হবে না বলে বিএনপির নেতাদের হুঁশিয়ার করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১০ জুন) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের গেটে বিক্ষোভ মিছিল-পূর্ব সমাবেশে এ হঁশিয়ারি দেন তিনি। শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এ বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গোটা ঢাকা মহানগরীর রাজপথ আজ আওয়ামী লীগের দখলে। আওয়ামী লীগ জেগেছে। আওয়ামী লীগ রাজপথে ছিল, আওয়ামী লীগ রাজপথে আছে, আওয়ামী লীগ রাজপথে থাকবে।’

‘শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করলে আমাদের আবেগে লাগে। বঙ্গবন্ধুকে খারাপ কথা বললে আমাদের খারাপ লাগে। বঙ্গবন্ধু পরিবারকে অপমান করলে আমরা অপমানিত বোধ করি। শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিলে আমাদের আবেগ আহত হয়। আমরা সহ্য করতে পারি না। আমরা কাউকে গালি দিই না। আমরা কারও বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করি না, যেটা বিএনপি শুরু করেছে।’

প্রতিশোধ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমি বলে দিতে চাই, পঁচাত্তর আর ২০২২ এক কথা না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে খুনিদের পুরস্কৃত করেছে, ইন্ডেমিটি দিয়েছে। শেখ হাসিনার কিছু হলে আওয়ামী লীগ ঘরে বসে আঙ্গুল চুষবে না। রাজপথে আছি, রাজপথে থেকে তার সমুচিত জবাব দেবো।’

‘ঢাকা মহানগর উত্তরের মতো দক্ষিণ আওয়ামী লীগ রাজপথে থেকে দেখিয়ে দিয়েছে, আমরাও পারি। আমরা বঙ্গবন্ধুকন্যার অপমান কোনোদিন সহ্য করব না। আমরা প্রতিবাদ করব, আমরা প্রতিশোধ নেবো।’

সুশৃঙ্খল ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার উন্নয়ন দেখে যখন দেশের মানুষ খুশি, তখন বিএনপি নেতাদের মুখে কালো মেঘ ঘনীভূত হয়েছে। বিএনপি দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখতে পায়, শেখ হাসিনার উন্নয়ন তারা দেখে না।’

‘২৫ তারিখ পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল আসেছে, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেস আসছে, এক্সপ্রেসওয়ে আসছে, মাতারবাড়ি আসছে। কত উন্নয়ন দেখবেন। একের পর এক শেখ হাসিনা যখন উদ্বোধন করবেন, আপনারা চোখে তখন শর্ষে ফুল দেখবেন। নিজেরা তো কিছু করতে পারেন না, অন্যকে চোর বলেন? নিজেরা চোর হয়ে অন্যকে চোর বলেন। যে লুটপাট করেছে সে অন্যকে লুটপাটকারী বলেন। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এসব অপপ্রচারের সমুচিত জবাবে দেবো।’

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন—আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় সদস্য শাহাবউদ্দিন ফরাজী, সানজিদা খাতুন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।