আবুল মঞ্জুর। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা তিনি। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ছাদে ড্রাগন ফলের চাষ করে চমকে দিয়েছেন তিনি।
শুধু ড্রাগন ফলই না, ছাদে টপ, কাটা ড্রাম এবং বাস্কেটের সাহায্যে নানা ধরনের ফলের চাষ করেছেন তিনি।
করোনাকালে লকডাউনের সময় সংশ্লিষ্টদের অনুমতি নিয়ে নিরলস পরিশ্রম করে তিলে তিলে জেলা প্রাশসকের কার্যালয়ের ছাদে গড়ে তুলেছেন দৃষ্টিনন্দন বাগান। এতে খরচ হয় প্রায় এক লাখ টাকা।
আবুল মঞ্জুর রাইজিংবিডিকে বলেন, গাছগুলো সামান্য পরিচর্যাতেই বেড়ে উঠেছে। ফলনও হচ্ছে ভালো। প্রতিটি ড্রাগন ফলের ওজন আনুমানিক ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম। ছাদ বাগানে ড্রাগন ফলের চাষ মাটির টব, বাস্কেট কিংবা ড্রামে করা যায়। তবে সবচেয়ে ভালো হয় যদি ২০ ইঞ্চি আকারের ড্রাম বেছে নেওয়া হয়। কারণ এই আকারের ড্রামে চারা ভালোভাবে শিকড় ছড়াতে পারে আর তাতে ফলনও হয় অনেক বেশি।
কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ ফয়েজ রাইজিংবিডিকে বলেন, আমরা অনেকেই ছাদ বাগান সম্পর্কে অবগত। পাকা বাড়ির খালি ছাদে বেড তৈরি করে অথবা টব, বাস্কেট কিংবা ড্রামে চাষাবাদ করে বাগান গড়ে তোলা যায়। ইটের তৈরি যেকোনো আবাসিক, বাণিজ্যিক ভবন বা কলকারখানার ছাদে নান্দনিক বাগান গড়ে তোলা যায়। সরকারি কর্মকর্তা হয়ে আবুল মঞ্জুর যেভাবে জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ের ছাদে বাগান করেছেন তা অনেকের জন্য অনুকরণীয়।
তিনি আরও বলেন, সুস্বাদু ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ড্রাগন ফলটি মূলত ভিনদেশি হলেও এখন দেশেই চাষ হচ্ছে। ড্রাগন ফলের সুখ্যাতি এখন সব জায়গায়। খুব সহজেই বাড়ির আঙিনা বা ছাদে ফলটি চাষ করা যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ড্রাগন ফলের ক্ষুদ্র কালো বীজগুলো ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৯ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এগুলো হার্টের জন্য খুবই ভালো। এটি হার্ট ভালো রাখার পাশাপাশি রক্তচাপ ও ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
কক্সবাজার শহরের বৃক্ষপ্রেমীদের সমন্বয়ে একটি ‘গ্রিন রেভুলোশন সোসাইটি’ গঠনের কাজ চলমান বলে জানান আবুল মঞ্জুর। এ সোসাইটির কাজ হবে সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীদের অবসর সময়ে ছাদ বাগানে আত্মনিয়োগে উৎসাহ দেওয়া।