Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে দম্পতির সংবাদ সম্মেলন

ছেলে নাজমুল হোসেনের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সংবাদ সম্মেলন করেছেন ঘাটাইল উপজেলার মো. আ. বাছেদ ও তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম। এসময় তারা অভিযোগ করেন, হত্যা মামলার দুই আসামি জামিনে মুক্তি পেয়ে তাদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন। একই সঙ্গে হয়রানি করতে তাদের (নিহতের পরিবার) বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে অভিযুক্তরা।

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। 

নুরজাহান বেগম সাংবাদিকদের বলেন, গত বছরের ১৭ আগস্ট ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে তাদের ছোট ছেলে সোহেল রানার সঙ্গে প্রতিপক্ষের ঝগড়া হয়। ওই দিন রাতে সোহেল ও তার বাবা স্থানীয় পল্টন ময়দান বাজারে গেলে বেল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে তাদের উপর হামলা হয়। পরে নাজমুলকে (সোহেল রানার মেজো ভাই) প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়ি থেকে বাজারে ডেকে নিয়ে লাঠি ও রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। সেসময়  স্থানীয় লোকজন নাজমুলকে উদ্ধার করে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে নাজমুলকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বছরের ১৯ আগস্ট সন্ধ্যায় নাজমুলের মৃত্যু হয়।

তিনি আরও জানান, নাজমুলের মৃত্যুর পর তার চাচা শাহজাহান মিয়া বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে ঘাটাইল থানায় মামলা করেন। 

মামলায় মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে মো. বেল্লাল হোসেন, বেল্লাল হোসেনের ছেলে মো. হৃদয় হোসেন ও মো. মমিন হোসেন, মো. আব্দুল মালেকের ছেলে জুয়েল হোসেন ও সোহেল হোসেন, মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে আব্দুল মালেক, মো. সমশের আলীর ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম, মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে ময়েজ উদ্দিন ওরফে হেলাল ও বোরহান উদ্দিনের ছেলে মো. শাহজালাল হোসেনের নাম উল্লেখ করা হয়। পরে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। 

বর্তমানে নাজমুল হত্যা মামলার দুই আসামি আয়নাল ও হৃদয়ে জামিনে মুক্ত হয়েছেন। এখন তারা বিভিন্নভাবে আমাদের হুমকি ধামকি দিচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১২ এপ্রিল আসামিরা আমার স্বামী বাছেদের উপর হামলা করে। এ ঘটনায় বাছেদ বাদী হয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি ও আদালতে মামলা করেন। আমরা আমাদের সন্তানের হত্যাকারীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।