বিএনপির একটি সূত্রে জানা গেছে, অক্টোবর মাসেই শেষ করা হবে দ্বিতীয় পর্যায়ের সংলাপ। প্রথম পর্যায়ের সংলাপে অংশ নেওয়া ২২ দলের পাশাপাশি আরও নতুন রাজনৈতিক দলের এ সংলাপে অংশ নেয়ার ইঙ্গিত দেন নেতারা। তবে এর মধ্যে জাতীয় পার্টিসহ সরকারে থাকা কোনও রাজনৈতিক দল আসছে কি-না তা এখনই স্পষ্ট করে বলতে রাজি নন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
দ্বিতীয় পর্যায়ে সংলাপের প্রথম দুদিনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ও এলডিপির সঙ্গে সংলাপ করেছে বিএনপি। এ সংলাপে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা, সংসদ ভেঙে দেওয়া, অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি, সেই সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন দেওয়া, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি, কারাবন্দী বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মীর মুক্তি ও জেলে থাকা দেশের শীর্ষ আলেমউলামার মুক্তির বিষয়টি আন্দোলনের দাবিতে সন্নিবেশিত করার বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
প্রথম পর্যায়ের সংলাপে বিএনপি ২২টি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে। নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে ২৪ মে ওই সংলাপ শুরু হয়। প্রথম পর্যায়ের সংলাপ শেষ হয় ৩ আগস্ট গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে। ২২টি দলের কার্যালয়ে গিয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপি প্রতিনিধি দল সংলাপ করে। ওই সংলাপের পর বিএনপির মাঠের কর্মসূচি বেগবান করতে বেশকিছু কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে। তবে ওই সংলাপে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের কোনও দল অংশ নেয়নি। এবার ২ অক্টোবর থেকে দ্বিতীয় ধাপে আবারও সংলাপ শুরু করেছে বিএনপি। তবে এবার সংলাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে।
প্রথম পর্যায়ের সংলাপে অংশ নিয়েছিল- নাগরিক ঐক্য, লেবার পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, জাগপা, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ ভাসানী, এলডিপি, জমিয়ত, সাম্যবাদী দল, ডেমোক্রেটিক দল, জেএসডি, ইসলামি ঐক্যজোট, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি, ইসলামিক পার্টি, বাংলাদেশ পিপলস পার্টি, জাতীয় দল, বাংলাদেশ ন্যাপ, গণফোরাম (মন্টু) ও গণঅধিকার পরিষদ। এই ২২ দলের মধ্যে বেশ কয়েকটি দল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটেরও শরিক।