Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

‘দ্বিতীয় বিয়ের’ কাবিননামা ‘দেখাতে পারেননি’ মামুনুল হক

mamunul
mamunul

সময়ের কন্ঠস্বর ডেস্ক: হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশেরন নেতা মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় আরও দুই পুলিশ কর্মকর্তা আদালতে সাক্ষী দিয়েছেন। আজ সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

আদালতে আজ সাক্ষী দেওয়া দুই পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মামুনুল হক বিয়ের কথা বলে রিসোর্টে ডেকে এনে মামলার বাদীকে ধর্ষণ করেছেন। আর আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ওই নারীকে বিয়ের যে দাবি মামুনুল হক করেছেন, তার স্বপক্ষে কোনো কাগজপত্র আদালতে দেখাতে পারেননি তিনি।

পিপি রকিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ধর্ষণ মামলার আসামি মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানার দুই এসআইসহ ১৫ জন সাক্ষী দিয়েছেন। সাক্ষীতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন- ঘটনার দিন থানার ডিউটি অফিসারের তথ্যানুযায়ী তারা রয়েল রিসোর্টে যান। সেখানে তারা মামুনুল হক ও মামলার বাদী ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী পুলিশকে জানান, মামুনুল হক তাকে বিয়ের কথা বলে ডেকে এনে ধর্ষণ করেছেন।

রকিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, দুই পুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষী দেওয়র সময় মামুনুল হকসহ তার পক্ষের আইনজীবীরা বিয়ের কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।

এ বিষয়ে মামুনুল হকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ কে এম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, ‘মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় ছয় পুলিশ কর্মকর্তাসহ আট জনের সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ছিল। কিন্তু তাদের মধ্যে এসআই কোবায়েদ হোসেন ও বোরহান দর্জি সাক্ষী দিয়েছেন। তাদের সাক্ষীর সঙ্গে এজাহারের কোনো মিল খুঁজে পাইনি। অনেক এলোমেলো কথা উঠে এসেছে। আদালতে তারা দুজন বলতে পারেননি ওই দিন তারা কেন মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করেননি। বরং তারা বলেছেন সেদিন তাকে গ্রেপ্তার করার মতো কারণ ছিল না।

আদালতে মামুনুল হকের পক্ষে ওই নারীকে বিয়ের কাবিননামা দেখাতে না পারার বিষয়ে এ কে এম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, তাদের (মামুনুল হক ও বাদী) ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী বিয়ে হয়েছে। আর আদালতে এখনো কাবিননামা দেখানোর সময় হয়নি। যথাযথ সময়ে এ বিষয়ে জবাব দেওয়া হবে।

এর আগে গত বছরের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টে মামলার বাদীসহ মামুনুল হককে ঘেরাও করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা রিসোর্টে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে সেখান থেকে নিয়ে যান।

এরপর ওই বছরের ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁও থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন তার সঙ্গে থাকা ওই নারী। তখন মামুনুল হক দাবি করেছিলেন, ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী।